কাঁচা আমের টক রসে রঙ্গিন করি মুখ
চৈত্রের তাপাদাহে পুড়ছে চারিপাশ, লু হাওয়া বইছে সবখানে। সবুজ মাঠ এখন বিরান ভূমির মতো লাগছে, কোথাও একটুকু ছায়া নেই, নেই শীতল বাতাস, বটবৃক্ষের তলেও খুজেও পাওয়া যায় না সেই মিষ্টি পরশ বুলিয়ে যাওয়া বাতাস বা ছায়া। প্রকৃতি বড় বেহরম আচরন করছে সকল জীবের সাথে। স্কুল, কলেজ, অফিস সব জায়গায় লোড শেডিং নামক দানবের কাছে পরাজিত। এই আছে এই নেই। ঘন্টার পর ঘন্টা গরমে কাটাতে হচ্ছে মানুষকে। ত্রাহিদাহি অবস্থা প্রায় প্রতিটি প্রাণীর।
চৈত্রের এই মাসে একটু বৃষ্টির বড়ই প্রয়োজন এখন আর সাথে প্রয়োজন এমন কোন মুখরোচক খাদ্য যা মনকে প্রফুল্ল করে। চৈত্রের পরে আসবে বৈশাখ, ঝড় বাদলায় কেটে যাবে মুহুর্তগুলো। চলবে আম কুড়ানো পালা, বাড়ীতে বাড়ীতে কাচা আমের আচার আর মোরোব্বা বানানোর আয়োজন শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু এই চৈত্রেই যদি দেখা মেলে এমন খাবারের মন্দ হয় না কি বলেন আপনারা।
অফিসে যাওয়া আসার পথে কয়েকদিন ধরে দেখছি সবুজ সবুজ একটি ফল। দেখা মাত্র জ্বিভে জল চলে আসে। মনটা আনচান করে। কখন তাকে হাতে পাবো কখন তাকে মজা করে খাবো। আজ সকালটা প্রচন্ড রোদ যেমন উঠেছে তেমনি কাজের পাহাড় নিয়ে শুরু করেছি দিনটাকে। সকালে এই রোদে কাজের চাপে যখন জানটা যায় যায় অবস্থা রাস্তায় ভ্যান গাড়ীতে দেখলাম এক লোক লেবু আর কাচা আম নিয়ে বসে আছে। আর তর সইলো না। গাড়ী থামাতে বলে নিজেই গেলাম সেই মহা বিক্রেতার কাছে। লেবুর হালি কতো ভাই?? একদাম ৩০টাকা। রস হবে তো?? হইবো না মানে কাইট্টা লইয়া যাইবেন, রস না হইলে টাকা ফিরত। আর আমের কেজি কতো, একটু ভয়ে ভয়ে জানতে চাইলাম। পান খাওয়া দাত বার করে বলল মাত্র ১২০টাকা একদাম। একটু কমবে না ভাই। না আফা। এখন আম বহু দূর থাইক্কা আনতে হয়। কি আর করা। “ভোজন বিলাসী বাঙালী” এই সুনামতো আমাদের আছেই। ঠিক আছে এক পোয়া দেন। নিজে বেছে বেছে দিলাম উঠল ৫টা। তবে একপোয়ার বেশী হয় একটা কমাতে হবে, একপ্রকার জোর করে একটা আম বেশী নিলাম। গাড়ীতে বসেই শুরু হল কাচা আম খাওয়া। আহা কি যে সুখ বলে বুঝাতে পারব না। এই সুখ করে খাওয়া অনেক দিন পরে খাচ্চি।
চৈত্রের এই মাসে একটু বৃষ্টির বড়ই প্রয়োজন এখন আর সাথে প্রয়োজন এমন কোন মুখরোচক খাদ্য যা মনকে প্রফুল্ল করে। চৈত্রের পরে আসবে বৈশাখ, ঝড় বাদলায় কেটে যাবে মুহুর্তগুলো। চলবে আম কুড়ানো পালা, বাড়ীতে বাড়ীতে কাচা আমের আচার আর মোরোব্বা বানানোর আয়োজন শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু এই চৈত্রেই যদি দেখা মেলে এমন খাবারের মন্দ হয় না কি বলেন আপনারা।
অফিসে যাওয়া আসার পথে কয়েকদিন ধরে দেখছি সবুজ সবুজ একটি ফল। দেখা মাত্র জ্বিভে জল চলে আসে। মনটা আনচান করে। কখন তাকে হাতে পাবো কখন তাকে মজা করে খাবো। আজ সকালটা প্রচন্ড রোদ যেমন উঠেছে তেমনি কাজের পাহাড় নিয়ে শুরু করেছি দিনটাকে। সকালে এই রোদে কাজের চাপে যখন জানটা যায় যায় অবস্থা রাস্তায় ভ্যান গাড়ীতে দেখলাম এক লোক লেবু আর কাচা আম নিয়ে বসে আছে। আর তর সইলো না। গাড়ী থামাতে বলে নিজেই গেলাম সেই মহা বিক্রেতার কাছে। লেবুর হালি কতো ভাই?? একদাম ৩০টাকা। রস হবে তো?? হইবো না মানে কাইট্টা লইয়া যাইবেন, রস না হইলে টাকা ফিরত। আর আমের কেজি কতো, একটু ভয়ে ভয়ে জানতে চাইলাম। পান খাওয়া দাত বার করে বলল মাত্র ১২০টাকা একদাম। একটু কমবে না ভাই। না আফা। এখন আম বহু দূর থাইক্কা আনতে হয়। কি আর করা। “ভোজন বিলাসী বাঙালী” এই সুনামতো আমাদের আছেই। ঠিক আছে এক পোয়া দেন। নিজে বেছে বেছে দিলাম উঠল ৫টা। তবে একপোয়ার বেশী হয় একটা কমাতে হবে, একপ্রকার জোর করে একটা আম বেশী নিলাম। গাড়ীতে বসেই শুরু হল কাচা আম খাওয়া। আহা কি যে সুখ বলে বুঝাতে পারব না। এই সুখ করে খাওয়া অনেক দিন পরে খাচ্চি।
একটা আম খেয়ে বাকী গুলো ড্রাইভারকে অফিসে গিয়ে মাখিয়ে দিতে বললাম। এখানে বলে রাখা ভাল আমাদের এই ড্রাইভার বেশ ভাল রান্না জানে। আমার কাছে সে ট্রেনিং নেয় রান্নার। আজ প্রায় তিন বছর সে আছে আমাদের সাথে। তাই সে জানে আমি কি রকম খাবার পছন্দ করি। কিভাবে আম মাখাতে হবে কারণ এই তিন বছর প্রতিবছরই তাকেই আম মাখাতে হয় আমার জন্য। শুধু আম ই নয় কিছু দিন পরে জাম উঠবে আর এই জাম খাওয়া চলবে প্রতিদিন। আর ড্রাইভার মাখিয়ে দিবে মজা করে। আপাতত লবন, চিনি আর কাচা মরিচ দিয়ে মাখানো হয়েছে পরে কাসুন্দি দিয়ে মাখিয়ে খাওয়া হবে যখন আম উঠবে ঠিক মতো বাজারে।
অফিসে ফিরে তাড়াতাড়ি নামাজ পড়ে আম মাখা খেতে বসে গেলাম। তখনই মনে হল আপনাদের একটু লোভ লাগাই। চট করে লিখে ফেললাম পোষ্টটা।
অফিসে ফিরে তাড়াতাড়ি নামাজ পড়ে আম মাখা খেতে বসে গেলাম। তখনই মনে হল আপনাদের একটু লোভ লাগাই। চট করে লিখে ফেললাম পোষ্টটা।
বাসায় গিয়ে বউ, বোন মা কে বলুন এই রকম আম মাখিয়ে দিতে আর মজা করে খান দেখুন রসনার পূর্ণ তৃপ্তি পাবেন হৃদয়ে। আর যারা নারী কূলের বাসিন্দা তারা নিজেরা কিনে নিয়ে মাখিয়ে খেতে পারেন। তবে এটা সত্যি এই গরমে যতো টক আর তিতা খাবেন গরম ততো কম লাগবে আর শরীর ভাল থাকবে।
আমি মজা করে খাই। আর আপনারা আপাতত জ্বিভে পানি আনুন আর পোষ্টটা পড়ুন তবে কেউ নজর দিবেন না দয়া করে। ।
আমি মজা করে খাই। আর আপনারা আপাতত জ্বিভে পানি আনুন আর পোষ্টটা পড়ুন তবে কেউ নজর দিবেন না দয়া করে। ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন