চৈত্রের শেষ দুপুর এবং প্রথম প্রেমের চিঠি...
ক. প্রথম প্রেমের চিঠি /যেদিন তোমার মায়ের হাতে পড়লো ধরা/ সেদিন থেকে তোমার উপর/ দৃষ্টি রাখা হলো কড়া/ বন্ধ হলো লেনদেন মেলামেশা…
খ. পহেলা বৈশাখ, হাওয়ায় উড়িয়ে রঙ্গীন ঘুড়ি/ বাসন্তী রঙা শাড়ি অবিনাশী শব্দ ভালবাসি/ কত কথায় তো ছিল বলার/ সময় হলো না কারো দু-দন্ড মুখোমুখি বসবার…
প্রিয় কন্ঠ শিল্পী নাফিস কামাল ভাইয়ের গাওয়া গান দুটোর মতো বাস্তবে ধরা দেয়নি। একটু ভীন্নতা ছিল। ছিল ভয়। ১৪০৮ বাং সনের চৈত্রের শেষ দিন। শেষ দুপুর। আকাশে সাদাকালো মেঘের আনাগোনা। ছুটছি দল বেঁধে। হাতে নিমন্ত্রণপত্র। উপলক্ষ ১৪০৯ কে বরণ করে নেওয়া। বরাবরের মতো বরেন্দ্র সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে আরো একটি বর্ষবরণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। কোন ক্লান্তি নেই। ছুটছি। কাকতালীয় ভাবে দেখা হয়ে গেল সেলিম ভাইয়ের সাথে। ব্যাগ থেকে চিঠি বের করেই বললেন, এই ঠিকানাটা খুঁজে পাচ্ছি না। তাচ্ছিল্য ভরে হাতে ধরা। চমকে উঠা। আমার বলেই রেখে দিলাম পকেটে। আবারো দল বেঁধে ছুটে চলা। ব্যস্ততার কারণে চিঠিটার কথা ভুলে বসেছিলাম। মাঝরাতে মনে পড়তেই খামবন্দি চিঠিটা মেলে ধরা। পড়া। নতুন এক স্বপ্নের পথচলার শুরু সেই থেকে। স্বপ্নীল শ্রাবন্তীর বিরতীহীন লেনদেন শুরু। থেমে থাকেনি। দূরত্ব বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। ১৪০৮ এর চৈত্রের শেষ দিনে হাত স্পর্শ করা চিঠিটার মাধ্যমেই জন্ম এক নতুন অধ্যায়ের। আবারো আসছে আরো একটি চৈত্রের শেষ দিন, শেষ দুপুর। আরো আসবে, যাবে। বয়স বেড়ে যাবে। এমনি করে বার্ধক্য আমাদের জড়িয়ে ধরবে। আজো স্মৃতিতে জমে আছে সেই চৈত্রের দুপুরে হাতে আসা প্রেমের প্রথম চিঠি।
চৈত্রের শেষ দিনটাতে এখন আর শ্রাবন্তীর জন্য ছুট দেওয়া নয়, নিষ্পাপ দুটো অবয়ব হাতছানি দিয়ে ডাকে। তাইতো ক্লান্তিকে উপেক্ষা করে অস্থির হয়ে উঠা, হৃদয়ের ক্যানভাসে আঁকা খিলখিল বুড়ি আর লিল’পরী, কখন ফিরবো বাড়ী…
বিলাসীর চুখে জ্বল ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যকে জানাই বাংলা নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন