[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

আমাকে নিয়ে যায় সে



আমাকে নিয়ে যায় সে

আমাকে জাগিয়ে তোলে সে-
কোনো এক কালের প্রভাত ঘন
বসন্তের কোকিল হয়ে।

মাঝে মধ্যেই আমি প্রকৃতির রুপ মেখে
নয়নে বসন্ত সাজাই-
আমি উন্মক্ত হই, প্রতহ অপরাহে
কিম্বা বাকি সময়ে।

যেখানে কোনো অনুসূচনা থাকেনা,
থাকেনা সূচনাকে পুজি করে
অমাবর্ষার বিষ্ময়কর ডুমুর ফুল
আয়ত্ব করতে।

সেখানে আমি জাগিয়ে উঠি
অতীত কিম্বা ভবিষ্যতের সামনা সামনি।
আমাকে নিয়ে যায় সে-
মহাকালের কোনো এক সৃষ্টির নিগরে।

আমি সেখানেই আয়ত্ব করি
যুগ উপযোগি সভ্যতার বাসনা গুলো।
সেখানেই গচ্ছিত আছে মহাকালের সভ্যতা ।

সেখানে শানবাধা ঘাট আছে।
পাল তোলা নাও আছে।
প্রকৃতি আছে, আছে প্রাকৃতির নির্যাস ।

কোকিল আছে ,ভরা দিঘি আছে
উলঙ্গ মাঠ আছে -
আর একরাশ স্বপ্ন আছে।

আমাকে জাগিয়ে তোলে সে
আমাকে নিয়ে যায় সে
বসন্তে-র ভরা যৌবনের স্বাদ নিতে।

আমি প্রত্যহে কাটি তার অপেক্ষায়।
######################################################################

বোঝা না বোঝার ভাষা





বোঝা না বোঝার ভাষা
Photobucket

চোখ থেকে গড়িয়ে পড়া অশ্রুকে জলই ভাবা যায়,
ভাবা যায় সেই অশ্রুকে সাগরের জলও,
হয়ত অশ্রু আর সাগরের জল দুটোই নোনতা বলে,
কতো কষ্টে যে এই জল গড়িয়ে পড়ে, তার কি খবর কেউ জানে,
বা বোঝে কেউ প্রতিটি ফোটায় জড়িয়ে থাকে কতো বেদনার লবনাক্ততা।

বিশ্বাসে যে আয়না তৈরী হয় যেখানে হেসে যায় ভরসার রেখা বিন্দু,
অবিশ্বাসের একটুকরো আচড়ে সেই আয়নায় যে দাগ পড়ে
সেই দাগটা হাজার বিশ্বাস দিয়েও মোছা যায় না কখনো,
কেউ কি সেই দাগের ভাষা পড়তে পারে?
কেউ কি বোঝে অবিশ্বাসের এই দাগে কতোটা কষ্ট লুকিয়ে থাকে।

একাকিত্বর মূর্চ্ছণায় যে সুরে বেজে উঠে গান
সুরের ঝন্কারে মুখরোতি হয় চারিধার,
সেই ঝন্কারে যে ব্যাথার সুর বেজে উঠে
কেউ কি বোঝে তা কখনো? কেউ কি বোঝে
একাকিত্বে কতোবার একটা জীবনের মৃত্যু ঘটে।

ভালবাসা, ভরসা আর বিশ্বাস মিলে যে জীবন
সেই জীবনে প্রতি পলে পলে বেদনার অশ্রু,
বিশ্বাস ভাঙ্গার কষ্ট, সাগর, পাহাড় বা
যতো কিছুর সাথে তুলনা করা হোক না কেনো
কেউ কি বোঝে, কি যাতনায় একটা জীবন অতিবাহিত হয়
কেউ কি বোঝে চাপা কান্নায় কতোটা মুহুর্ত পেড়িয়ে যায়?

বোঝা না বোঝার ভাষা কি পড়তে পারে কেউ কখনো?
******************************************************

গোলা খাবি খা, মারা যাবি যা, তবু গোলা খাব




গোলা খাবি খা, মারা যাবি যা, তবু গোলা খাব

এই বছরটা বোধ হয় আমার শেষ বছরই হবে, আমার মন বলছে, বছর শুরুর ২টা মাস যায় যায় করছে আর আমি এই ৫৪টা দিনে ৫৪ মিনিটও ভাল থাকতে পারিনি, এই ৫৪টা দিন ধরেই হয় কাশি, না হয় ঠান্ডা না হয় জ্বর, একটা না একটা কিছু লেগেই আছে। এই ভাবে ৫৪টা দিন কাটিয়ে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। চলছে ওষুধ খাওয়ার ধুম। মানুষ খায় পিঠা পুলি আর আমি খাই ওষুধ , বিধাতার লীলা আসলেই বোঝা ভার।
২১তারিখ সকাল ৫.৩০মিনিটে ঘুম থেকে উঠে নাক মুছতে মুছতে প্রস্তুত হয়ে ৭.১৫মিনিটে চলে গেলাম ইডেনের গেটে, ফুল দিতে শহীদ বেদীতে, দীর্ঘ্য ৬ঘন্টা ৩০মিনিট পরে সেই সৌভাগ্যবান আর সৌভাগ্যবতী হয়ে আমরা ফুল দিয়ে শহীদ মিনার থেকে বের হয়ে আসলাম, এই লম্বা লাইনে দাড়িয়ে যেমন পায়ে ব্যাথা হয়েছে তেমন ধূলা বাবাজি আমাকে ভালভাবে জড়িয়ে ধরেছিল যা তখন টের পাইনি, শহীদ মিনার থেকে বের হয়েই আইসক্রিম ওয়ালা দেখে গরমটা একটু বেশী লাগছিল(ইগলু বা পোলার নয়, ললি টাইপ আইসক্রিম, বরফ আর রং মিশানো, এই আইসক্রিম আমার বেশী প্রিয়, ইগলু বা পোলারের আইসক্রিম এর চেয়ে) একটা আইসক্রিম কিনে খেতে খেতে জামানকে ওটা দিয়ে আরেকটা খেলাম। আহ্ কি সুখ। সুখ তুমি কোথায় ছিলে??? বই মেলায় কিছুক্ষন থাকার পরেই শরীর জানান দিচ্ছিল আর চলবে না, থেমে যাবে যে কোন সময়, সাথে নাক দিয়ে পানি পড়া, হালকা মাথা ব্যাথা, আর কাশি। সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসার জন্য মেলার বাইরে পা দিলাম , আর সেখানে দেখা গোলা ওয়ালার সাথে, সাথে সাথে নাক দিয়ে পানি পড়া, মাথা ব্যাথা কাশি কিছুই আর রইল না। ওখানে লাইন দিয়ে ত্রিশটা টাকা দিয়ে বরফের গোলা কিনে খেতে খেতে বাসায় আসলাম। কি যে মজা সেই বরফের গোলা। না কোন স্বাধ না কোন গন্ধ, শুধু বরফের কুচি আর রং। তবুতো থেতে হবে, না খেয়ে মরে গেলে আফসোস থেকে যেতো।
আফসোস আর কি থাকবে, বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে কম্বল মুড়ি দিলাম, শুরু হল হাচি, কাশি, নাক দিয়ে গঙ্গার পানি স্রোত, মাথা ব্যাথা আর জ্বর। গরম চা করে একটা প্যারাসিটামল খেয়ে নিলাম একটু কষ্ট করে বিছানা থেকে উঠে। রাতে সব কিছু আরো ভাল ভাবে আমাদের পেয়ে বসে আমাকে কি আর রেহায় দিবে। দিল না।
নাক দিয়ে অবিরত পানি পড়ছেই, কাশি মহা কাশিতে পরিণত হচ্ছে, জ্বর ঠিক মতো আসতে পারছে না প্যারাসিটামলের কারণে। অফিসে তবু আসতে হল। হাতে অনেক কাজ। কিন্তু সেই কাজও ঠিক মতো করতে পারলাম না, রুম লক করে চুপচাপ বসে থাকা ছাড়া। সন্ধায় বাসায় ফিরে শুয়ে রইলাম, জামান ফিরেই ধরিয়ে দিল এন্টিবায়োটিক, সে খুব ভাল করেই জানে আমার যে অবস্থা এন্টিবায়োটিক ছাড়া চলবে না। চলছে এন্টিবায়োটিক, নাক দিয়ে পানি পড়া থেমেছে কিন্তু কাশি মাথাব্যাথা কমছে না, প্যারাসিটামলের কারণে জ্বর ভালভাবে আসতে পারছে না। ল্যাপটপে চোখ দিতে পারছি না, মাথা ব্যাথার যন্ত্রনা তিব্র হচ্ছে।
এই তিনদিন ব্লগে আসতে পারিনি বলে আমাকে সবোর্চ্চ মন্তব্যকারীর সিরিয়াল থেকে আস্তে আস্তে নীচে নামিয়ে দিচ্ছে, এই দু:খ কোথায় রাখি। ভেবেছিলাম সারা বছর সবোর্চ্চ মন্তব্যকারীর জায়গাটা ধরে রাখবো আর সামনের বছর পিকনিকে একটা উপহার নিব। কপালে না থাকলে যা হয়।
২১নিয়ে পোস্টও দিতে পারছি না। ছবিগুলো ল্যাপটপেও নেয়া হয়নি। এডিট করতে হবে তারপরে ফটোবাকেটে নিতে হবে, মাথার ব্যাথায় এতোকিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। পরে না হয় পোস্ট দিব।
আজ সকালে জামানকে বকলাম গোলা খাওয়ার সময় কেনো মানা করলে না। ওর সোজা উত্তর”হ্যা মানা করি এরপরে শুরু হোক তোমার ক্যানক্যানানি, কেনো খেতে দিলাম না, মরে গেলে বুঝবা, এই সব ডায়লগ(আমাকে কিছু না দিলে আমি এই সব ওকে বলি) আসলে বেচারাও বুঝেনি আমার অবস্থা এতো খারাপ হবে। তবে একটা কথা না লিখলেই না। বরফের গোলা খেয়ে কাশি জ্বর ঠান্ডায় যতো কষ্ট পাই না কেনো, গোলা টা না খেলে আফসোস থাকতো। গোলা খেয়ে মরবো তবু গোলা খাবো। সামনের বছর যদি বেচে থাকি আবার গোলা খাব, এই সময়টাই গোলাটা পাওয়া যায় তাই বেচে থাকলে নেক্সট বছরেও এই টার্গেট থাকলো।
আজও ব্লগিং করবো না, এই্ কয়টা লাইন লিখতে চোখ দিয়ে অবিরত পানি পড়ছে, মাথা টন টন করছে। আরো দুই তিনদিন মনে হয় লাগবে ভাল হতে। সেই পর্যন্ত সবার পোস্ট জমা থাকুক আমার জন্য একাধারে মন্তব্য করে আমার অবস্থান ছিনিয়ে আনবোই,,ইনশাল্লাহ।

সবাই অনেক অনেক ভাল থাকুন। আমি পাগলামী করি আপনারা করবেন না। পাগলামী করে যে কষ্ট পাচ্ছি তা জামান ছাড়া কেউ বুঝবে না, বেচারা এই দুইদিন হাবিজাবি খাচ্ছে, যত্ন হচ্ছে না।আর অফিসের কাজও জমে যাচ্ছে। সবাই সচেতন থাকুন নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে। পরিবার পরিজনের যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন।

মেঘ-বৃষ্টি লুকোচুরি





মেঘ-বৃষ্টি লুকোচুরি
akashnill
এই কি মেঘের খেলা-
প্রতিদিন সে ঢাকে আকাশ,
ভু-পৃষ্টে থমকে দাড়ায় তপ্ত বাতাস।
প্রতিক্ষায় চেয়ে তনুমন,
ক’ফোটা বৃষ্টি ঝরো অনুক্ষন।
কদম তলে ‍সিক্ত বসনে
কথা হবে প্রিয়ার সাথে তৃষিত নয়নে,
রোদেলা দুপুরে ঘামসিক্ত মনে
তাই অপেক্ষায় কাটে বেলা।
অপেক্ষার দুপুর বিকেলে যায়
গোধূলীয়ার সঙ্গম হয় সুর্য ডোবায়
তবুও জলহীন মেঘ বৃষ্টি ঝরালো না,
প্রিয়া মোর আসিলনা শুষ্ক সাজ বেলায়,
ছোঁয়া গেল না তাকে বৃষ্টির অপেক্ষায়,
এ যেন মেঘ-বৃষ্টি লুকোচুরি খেলা।

সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

একুশ আসে একুশ যায়




একুশ আসে একুশ যায়

একুশ এলেই হুঁশ হয় বেহুঁশ বাঙ্গালীর
একুশ একেই নিরঙ্কুশ শ্রদ্বায় নগ্ন চরন ধীর
একুশের পরশে হৃদয় নিমেষে বিগলিত চিত্ত
শহীদ স্মরনে নিমগ্ন জাতি, স্যালুট -হে ভাষা বীর।

একুশ এলে ভরে ফুলে ফুলে শহীদ বেধি সারা
একুশ পেরুলেই ভুলি তাদের ভাষার জন্য প্রাণ দিলো যারা
যে চেতনায় এসেছিলো একুশ
দিয়েছিলো রক্তের জলাঞ্জলী রফিক শফিক বরকতেরা
আজ সেই চেতনায় জমেছে মরিচিকা
নিঃশব্দ ঘুনোপোকায় ভঙ্গূর জাতির মেরুদণ্ড
ভাষার ভালোবাসার নামে ভন্ড রাজনীতি করছে নির্লজ্জ ধোকা
ধার করা সংস্কৃতির জোয়ারে বাংলা আজ ক্ষীণ
ছিন্ন ভিন্ন জাতির মননে হবে কী ! ভাষার চেতনা উদ্বার ।

হে প্রভূ তোমার ভালবাসাই খাঁটি



হে প্রভূ তোমার ভালবাসাই খাঁটি

স্বেচ্ছা নির্বাসন...





স্বেচ্ছা নির্বাসন

যখন আনমনে ভেসে আসে তোমার মুখ খোলা জানালায়
আমার রোদ্দুর হতে মন চায়;
আলতো করে ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে হয় তোমার চিবুক।
অথবা একটা বৃষ্টি দিন বিজন পথে একাকী তুমি
এক পশলা বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ি আমি;
ভেজা চুল বেয়ে তোমার কপাল পেড়িয়ে,
নাকের ডগা গড়িয়ে ছুঁয়ে দেই তোমার শুষ্ক ঠোঁট।
একটা জীবন এক সাথে চলি হাসি কান্নায়-
শুধু শব্দ আর ধ্বনি মাত্র; বাস্তবতা দুরূহ!
জীবনে যতো টা পথ হেঁটেছি একাকী বিধুর
আর কতোটা বাকী কে জানে?
নিয়েছি স্বেচ্ছা নির্বাসন, বৈরাগী করেছি মন!
অথচ স্বপ্ন মৃত্যু প্রভাত বেলায় আবার স্বপ্ন দেখি
চলেছে জীবন চলবে শ্বাস আছে যতদিন
তুমি ছারা আমি হয়তো বা বেশ নই
তুমি কি আছো থেমে?
জীবনে বাঁকে জমে শুধু স্মৃতি দুঃখ কি বা সুখের
এইতো জীবন এভাবেই বেঁচে থাকা।

শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

বসন্তের প্রতিজ্ঞা




বসন্তের প্রতিজ্ঞা
397083_274410669286902_100001539147249_748885_366436998_n[1]

4ec4d5fd9a0705530cfa4a9e1bcabbe7


হায়রে ছুড়ি তোর হাতের চুড়ি
হলুদ রঙ্গে বাজে,
তোর হাতেই সাজবে বলে
বসন্ত আজ আসে ।

তোর কপালের হলুদ টিঁপে
এক বিকেলের রং,
ভালোবাসাই সাজিয়ে রাখে
ভালোবাসার ঢং।

শোনরে ছুড়ি হলুদ শাড়ী
তোকেই মানায় বেশ,
তোর আচলে বেশ খুঁজে পাই
স্বপ্ন দিনের রেশ।

চলনা ছুড়ি শপথ করি
এই বসন্তের দিনে,
হৃদয় ভাঙ্গা রুগ্ন ঘরে
সুখ আনবো কিনে।

তখন তুমি এখন তুমি




তখন তুমি এখন তুমি
 ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১২

a a

এইতো সে দিন
চাঁদের আলো ধরতে গিয়ে
তপ্ত রোদে গা ভেজালে;
আগুনটাকে জ্বালবে বলে
দু’হাত ভরে ছাই উড়ালে।


এইতো সে দিন
ফুল গুলোকে ছোঁবে বলে
রক্ত দিয়ে হাত রাঙ্গালে;
পাখির পালক ধরতে গিয়ে
স্বপ্ন গুলো খুব আঁড়ালে।


এখন তোমার হিসেবি মন
প্রজাপতির ডানায় আঁকে
চাওয়া পাওয়ার অংক নিয়ে
চিত্রা নদীর বাঁকে বাঁকে।


এখন তোমার সন্ধি গুলো
সঙ্গী দেখে বিচার করো
এখন তুমি ভালো মন্দ
অনেক কিছুই বুজতে পারো।


এখন তোমার সুখের ঘরে
বারো মাস শরৎ থাকে
তবু যখন একলা একা
আটকে থাকো স্মৃতির ফাঁকে।

মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

অনেক ভালবাসি


অনেক ভালবাসি
ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১২



তুমি হলে দুঃখ তাই আমি হলাম মায়া
তুমি আলো হলে বলে আমি হলাম ছায়া,
তোমার প্রিয় সাদা তাই আমার প্রিয় কাল
তোমার যা মন্দ সবি আমার কাছে ভাল।

তোমার যেথায় শুরু আমার সেথায় শেষ
তুমি কর খামখেয়ালী যা আমার আদেশ,
তুমি দেখ দুর পাহাড় আমি কাছের বিল
তোমার সাথে কোন কিছুর হয়না কেন মিল।

তুমি ভাবনায় এগিয়ে চল আমি বাস্তবতায়
তুমি শুধু হাসতে থাক আমার কঠিন কথায়,
তোমার যখন সূর্য উঠে আমার তখন চাঁদ
তোমার কাছে দিনটা ভাল আমার কাছে রাত।

তুমি শুধু স্বপ্ন ভাঙ্গ আমি স্বপ্ন আবার গড়ি
তুমি ভালবাসার নামে কর শুধু ছলচাতুরী,
তুমি আমায় দুরে ঠেল আমি কাছে টানি
তুমি সুখের ভালবাসায় বেদনা দাও আনি।

তোমায় আমি রাখতে চাই এই হৃদয়ে ধরে
তুমি তবু কেন যাও সখি অনেক দুরে সরে,
তুমি আমায় কাঁদিয়ে কেন তোমার মুখে হাসি
তুমি আমায় ঘৃণা কর তবু অনেক ভালবাসি।

সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

নারী, তুমি ভালোবাসো কাকে?

নারী, তুমি ভালোবাসো কাকে?

নারী, তুমি ভালোবাসো কাকে?
যখন তখন যাকে তাকে
নাকি নির্দিষ্ট কোন অরণ্যকে?
যেখানে গাছের সারি পাতার ফাকে
পাখিরা সব চুমকি মারে;
লতা-পাতায় জর্জরিত
হরিণ নাচে অন্ধকারে।

নারী, তুমি ভালোবাসো কাকে?
অন্ধকারের গান শুনিয়ে
অস্তগামী সূর্যটাকে?
নাকি ছলকে পড়া চাঁদের আলোয়
স্নানরত ঐ যুবকটাকে?
নারী, তুমি ভালোবাসো কাকে?
যখন তখন যাকে তাকে
নাকি বিস্তীর্ণ এই জমিনটাকে?
যেখানে কোমলতা যায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে
ওষ্ঠ প্রলেপ যায় ছাপিয়ে;
মরন নেশায় কারা যেন
গভীর রাতে উল্কি আঁকে!
নারী, তুমি ভালোবাসো কাকে?

সব্বাইকে ফাগুনের আগুন ঝরা শুভেচ্ছা.....


সব্বাইকে ফাগুনের আগুন ঝরা শুভেচ্ছা.....
আইলো রে আইলো ফাগুন
গাছে আর এখন লাগে না আগুন
ভ্রমররা করে না গুনগুন
কান পেতে তোরা শুনরে শুন ।

ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক
কোকিল কুহু কুহ করে নাই উঠুক……
বাসন্তী শাড়ীতে সেজেছে ললনা
কপালের লাল টিপে যেন ছড়াচ্ছে রূপের ছলনা..
মন মেতে উঠুক আমের মুকুলের মাতাল সমীরেণের স্নিগ্ধ পরশে
মনে ছড়াক হাজারো রং মনোরম আবেশে।
বসন্তের পহেলা দিনটির মতই হউক জীবন সুন্দর, বিমূর্ত
আনন্দের যেন কাটে সবার প্রতিটি দিন প্রতিটি মুহুর্ত ।
===================================
এই মুহুর্তে আর মিলাতে পারছি না ………. sad sad
===================================
সবাইকে আমার ফাগুনের আগুন ঝরা শুভেচ্ছা ………..

১।
২।
৩।
৪।
৫।
৬।
৭।
৮।
৯।
১০।
১১।
১২।
১৩।
১৪।
১৫।
১৬।
১৭।
১৮।

বসন্ত সাজ এই


বসন্ত সাজ এই ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১২


খোঁপায় পরেছি হলুদ গাঁদার ফুল,
 কর্ণে দুলিয়েছি কিংশুকের দুল।
 

পরেছি পলাশ রঙা শাড়ী,
 হাতে আমার কৃষ্ঞচূড়ার চুরি।
 

গলায় গোধূলি সূর্যৃ হার,
 অশোকের নূপুর পায়ে আমার।
 

কপালে পরেছি শিমূল পাঁপড়ি টিপ,
 হাতে ধরেছি ফাল্গুনী সন্ধ্যাতারার দীপ।
 

বহ্ণি হয়ে পোড়াতে এসেছি,
 ফাল্গুনী আমি,
 বলতো বসন্ত,কেমন সেজেছি?

রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

বহুদিন গায়ে মাখিনা.....~~~~~


বহুদিন গায়ে মাখিনা
ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১২

বহুদিন গায়ে মাখিনা
বদ্ধ পুকু‍র জলের ‍শ্যাওলা,
ডুবসাঁতারে খুঁজা হয় না আর
মাছের ডেরায় পোনা
চুপি সারে ঢিল ছুঁরা হয় না আর
কঞ্চির আগায় বসা ঐ মাছরাঙার গায়।


গাছের মগডালে ঘুঘুর ছানার ঠোঁট দেখা যায়,
সেই দুরন্তপোনা আর
গ‍া‍ছের গা বেয়ে উঠা হয়ে উঠে না
বাঁশের ঝাঁড়ের বসে দোল খায়
এক ঝাঁক বাঁশপাতি,
ঢিল ছুঁড়ে দল ভাঙা হয় না আর;
মানজা সুতোয় ঘুড়ি উড়ানো হয়ে উঠে আর
সাঁঝ পেরিয়ে গামাখা আঁধারে।

২১শে ফেব্রুয়ারী~~~~~

২১শে ফেব্রুয়ারী~~~~~



মোরা নগ্ন পায়ে যাব হেঁটে, ফুল ভরা ডালা হাতে
শহীদ বেদীর র্মম ছুঁয়ে, উঠব গেয়ে মন ছোঁয়া গান।।


আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো,একুশে ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভুলিতে পারি‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍~~~~~~~~~~~~~~~


এমনি ভাবে কথা শিখা, মায়ের বোলে স্বপ্ন আঁকা ‍‍‍‍‍‍‍‌‌‌‌
ঐ গানটা শহীদের তরে, মায়ের বোলে রেখেছি গেঁথে।।
মন মননে কালের ধারায়, ঐ গানটা রক্ত মজ্জায়
মিশেছে বাংলার কোটি সন্তানে, বিশ্বজুড়ে সবার মুখে মুখে।।

অষ্টাদশীর প্রেম

অষ্টাদশীর প্রেম

অষ্টাদশী কিশোরী মোর কেড়েছিল মন,
কথা দিয়েছিল সে হবে যুগ জনমের আপন।
এসেছিল সে শীতের কুয়াশায় নূপুর নিক্কন পায়,
হারিয়ে ছিলো হিয়া মোর সুরের মুর্ছনায়।
নোঙ্গর ফেলেছিলাম তার হৃদয়ের নদীতে,
প্রহর গুনেছি তার প্রেমের খেয়াঘাটে।
কুয়াশা শেষে আসিলো বর্ষা বর্ষণ,
অশ্রু হলো মোর দু’চোখের আপন।
ডুবিল তরী মোর অষ্টাদশীর দুরন্ত প্রেমে,
চলে গেল সে পরদেশীর পানসিতে চড়ে।

পানসি

পাদটীকাঃ
একদা 18+ বছরের এক কিশোরী
মোর প্রেমে দিওয়ানা হয়েছিল ।
এটা কি তার প্রেম না ক্ষনিকের আবেগ?
বুঝিবার চেষ্টা করেছিলাম,
তাই প্রেম বিশেষজ্ঞ বন্ধুর
প্রেম ভালোবাসায় পরামর্শ চাইলাম।
বন্ধু বরেষু মোরে শুধাইল
18+ বয়সের কিশোরী প্রেমে পড়ে বেশী,
ক্ষণে ক্ষণে তারা প্রেমের খোলস পাল্টায়,
এতএব তার প্রেমে মজিয়া হইয়োনা এত হাসিখুশি!
বন্ধু বরেষুর কথা
দিলো মোরে কিঞ্চিৎ ব্যথা।
তবুও ছাড়িলাম না হাল,
প্রেমের তরীতে দিলাম পাল।
অবশেষে যা হবার তাই হলো
18+ এর দূরন্ত প্রেম সাগরে
মোর টাইটানিক প্রেম ডুবিল।
আমার প্রেম তার ইতিহাস হইল,
কুইন মেরী-2 তে চড়িয়া
কিশোরী পরদেশীর প্রেমে মজিলো।
বন্ধু বরেষুর মুখে মুচকি হাসি,
আর করিবে অষ্টাদশীতে ভালোবাসাবাসি?
হে বন্ধু বরেষু মোর
কি করে করিব আর ভালোবাসাবাসি,
আজও যে সেই অষ্টাদশীকে ভালোবাসি।
বোকারাম বন্ধু মান কি তা এখন তুমি?
আঠারো বছরের যুবতীর
ঠিক থাকে না মতি গতির
সে যে প্রেমে চঞ্চল অতি!!!
মেনে নিলাম বন্ধুর কথা,
অষ্টাদশীর স্মরনে এই কবিতা।
হয়তো সে ভুলে গেছে সবি,
তার প্রেম বিরহে হয়েছি আমি কবি!!

নীল ছোঁয়া স্বপ্ন

নীল ছোঁয়া স্বপ্ন 
জানুয়ারি ২৫, ২০১২ |



সখি আকাশ থেকে তোমায়
কিছু নীল রঙ এনে দেব
দু’নয়নের মনিকোঠায় করে
তুমি কি নেবে না
তোমার নয়ন সাগর ভরে?
তুমি যে নীল নয়না ।
নীলাম্বরী নীল আবরণে ঘেরা
আকাশের ওই নীলিমা থেকে
টুকরো টুকরো ধূসরতা গুলো
মুঠি ভরে রেখে দেব,
শুধু তোমায় রাঙাবো
নীল ছোঁয়া জোছনায়।
সখি আঁখির ডানা কি মেলবে না?
গাংচিল চোখে নীলাকাশ নিয়ে
নীল সাগরে উড়বে না?
তুমি যে নীল নয়না।
গোলাপী অধর ছুঁয়ে যাবে তোমার
নীল শীতল স্পর্শতায়,
কপালে তোমার খেলা করবে
মেঘ-রৌদ্র ছাঁয়ায়।
নীল-সাদা-ধূসরতার মায়ায়,
সে ক্যানভাসে পরাবো তোমায়
আকাশনীল টিপ।
সখি তোমার সঙ্গে হারিয়ে যাবো
নীল সাগরের নীল আকাশ ঢাকা
সেই নিঝুম দ্বীপ।

হৃদয় ভাঙ্গা স্বপ্ন সিড়ি


হৃদয় ভাঙ্গা স্বপ্ন সিড়ি

স্বপ্নের সিড়ি বেয়ে তুমি এসেছিলে প্রিয়া
মোর হৃদয় পদ্ম পুকুরে,
যে টুকু জল ছিল সব নিয়ে নিলে
তোমার শূন্য হৃদয় কলসি ভরে।
কাদা মাটি মন মোর পরে রইল
অশ্রু ভেজা নির্বাক নয়নে।
জলহীন ভালোবাসার ফাটল ধরা পুকুরে
শেওলা জমেছে আজ তার পরতে পরতে।
পরকে করেছো আপন তুমি
আজ আপনকে করেছো পর,
অচীন কুমারের হাত ধরেছো
বাধবে সুখের ঘর।
হৃদয় তেপান্তরে উঠেছে তাই শুষ্ক মরু ঝড়,
তোমার ভালোবাসা করেছে মোরে একাকি দেশান্তর।
প্রিয়া তুমি সুখে থেকো
স্মৃতি টুকু মনে রেখ,
দুপুরের খর তাপে হেটেছিলাম দুজনে,
শান-বাঁধান ঘাটে বসেছিলাম ছায়াতরু নির্জনে,
ঢেউ তুলেছিল পুকুরের জল তোমার খিলখিলি হাসিতে,
স্বাক্ষি ছিল একটি নীল পদ্ম শীতল জলরাশিতে।

শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

মেঘ-বৃষ্টি লুকোচুরি



মেঘ-বৃষ্টি লুকোচুরি
akashnill
এই কি মেঘের খেলা-
প্রতিদিন সে ঢাকে আকাশ,
ভু-পৃষ্টে থমকে দাড়ায় তপ্ত বাতাস।
প্রতিক্ষায় চেয়ে তনুমন,
ক’ফোটা বৃষ্টি ঝরো অনুক্ষন।
কদম তলে ‍সিক্ত বসনে
কথা হবে প্রিয়ার সাথে তৃষিত নয়নে,
রোদেলা দুপুরে ঘামসিক্ত মনে
তাই অপেক্ষায় কাটে বেলা।
অপেক্ষার দুপুর বিকেলে যায়
গোধূলীয়ার সঙ্গম হয় সুর্য ডোবায়
তবুও জলহীন মেঘ বৃষ্টি ঝরালো না,
প্রিয়া মোর আসিলনা শুষ্ক সাজ বেলায়,
ছোঁয়া গেল না তাকে বৃষ্টির অপেক্ষায়,
এ যেন মেঘ-বৃষ্টি লুকোচুরি খেলা।

সেই আঁধার রাত আমি আশ্রিতা তার


সেই আঁধার রাত আমি আশ্রিতা তার 

জানুয়ারি ১৯, ২০১২ |


সেই আঁধার রাত আমি আশ্রিতা তার  


এই অবেলায় বেহুলা ভেলা,

ভাসালু ক্যান? মন পবন আর ডিঙ্গা বায় না উজানে;

অপেক্ষায় রাত পোহাবে। হাওয়ার দেখা নাই,

বৈঠা আজ কাঙাল, ঝড়ের অগ্নিমূর্তি মত চঞ্চলতা

কোথায় গেল? আধ ঢেউয়ের নিষ্প্রাণ স্পন্দন

নেই স্রোতের টান; ভেলা যায় তার হাওয়ার রেস খুঁজে



চাঁদের অমাবস্যা

তাই পিছল পথে রাখবে না পা,

যদিও মরন কামড় দিয়ে শিকারীর অঙ্গে! দাঁত কামড়ে পরে আছে

পৈশাচিক চিৎকার,কাঁচা মাংশের ঘ্রাণের নেশায় মাতাল

‍সেই আঁধার রাত আমি আশ্রিতা তার।

বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

অথচ মানুষ শোনে না

 

অথচ মানুষ শোনে না

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:১৬




কোনোদিনও একফোটা হাসি জমেনি তার ঠোঁটে
মৃত্যুন্নেষি শীতের প্রকোঁপে
একটা একটা করে খসে পরে উদাম পাঁজরগুলো,
রক্তাক্ত প্রজ্জ্বোলিত বক্ষে জেগে ওঠে ক্ষোভ।
দু’দন্ড পরিত্যাক্ত বস্ত্রের জন্য দু’টি হাত যেন কাঙ্ক্ষিত চিরকাল
কখনও বা মুখ নিচু, অভিমানী
কখনও বা দুর্নিবার অভিশাপের লীলা,
রক্তের সুর্যপানে কেটে যায় মুহুর্ত কয়েক।
ক্ষুধা কিংবা পিপাসায় আতঙ্কিত জীবনের শেষ আধটা ঘন্টা।

চিৎকার করে সে বারংবার
বলে শুধু বাঁচবার চাই।
মৃত্তিকাও শোনে তার কথা,
অথচ মানুষ শোনে না।
পাহাড়ের ঢাঁল বেয়ে বয়ে যায় অশ্রু,
মানুষ কাঁদেনা।
আমি বাঁচতে চাই মানুষের ভীঁড়ে,
আমি দেখতে চাই জোয়ারের উত্থান
পথভাঙা সমুদ্রতীরে।
মৃত্তিকাও শোনে তার কথা,
অথচ মানুষ শোনে না।

তোমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা.....

 

তোমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা

০২ রা জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:১৬

 


প্রথম যেদিন তোমায় দেখি
ঘনকালো মেঘে ঢাকা আকাশের তলে,
ছুটন্ত বাতাশও ছিল সেইদিন।
শুধু তোমার চুলগুলো অসহায় ছিল -
লালকাল ফিতার পরশে বাধা।
সেদিন কিন্তু অতটা ভাল লাগেনি তোমায়
এতটা ভালবাসতেও বোধ হয় পারিনি।
কিন্তু যত দিন যেতে লাগল, সবার মুখে শুধু তুমি আর তুমি।
নিজেকে অনেক বেধে রাখতে চেয়েছি,
অবুঝ আবেগটাকে কতবার বুঝিয়েছি,
বাস্তবতার শেকলের দিকে কাঁদ কাঁদ চোখে তাকিয়ে
পাগলামিটা বেধে রাখতে চেয়েছি কতবার।

কিন্তু তা কি পেরেছি বল।
নীল শাড়িতে জরিয়ে, আর কপালে নীল টিপ পরে
যেদিন তুমি দাঁড়ালে আমার পাশে,
আমার দিকে এক পলক তাকালে খোলা চুলে,
তোমার সেই ঘনকালো এলোমেলো চুলগুলো
স্থবির বাতাশ কে আকুল করে দিয়েছিল সেই দিন।
ধীরে ধীরে আমার হৃদয়ে যেন তুমি ঝর তুলতে লাগলে,
ধীরে ধীরে পরিধিটা যেন বৃত্ত হয়ে উঠল।
কেন্দ্রে কেবল আমি, যেন এক অসহায় বিন্দু।

কত ছোট্ট একটা জীবন আমার,
অথচ কত কাজ, কত চাপ, কত কর্তব্য
কত ব্যাস্ততা।
তবুও সবকিছু ভুলে; কেমন যেন স্তব্ধ হয়ে গেলাম সেইদিন থেকে।
এরপর?
কত প্রহর দিয়েছি তোমায় প্রতিদিন
তোমার নীল মুখটাতে কতবার একেছি আলপনা।

কিন্তু বাস্তবতার নোংরা মানুষটা
যখন আমার হাত ধরে হ্যাচকা টান মেরেছে -
তখন কতবার তোমায় ভুলতে চেয়েছি,
কতবার তোমার মুখ দেখবনা বলে -
চিরবিদায় জানিয়ে রেহাই খুঁজেছি
কিন্তু তুমি কি তা হতে দিয়েছ বল?

যতবার ছুঁটেছি তোমা থেকে বিপরীতে
ততবার এ হৃদয় আমার পুড়েছে,
এ আনন্দ আমার বিষন্ন হয়েছে,
অস্থির মন নিয়ে যেখানে ছুটেছি
শুধু তোমার মায়ামাখা মুখটা
ভেসে উঠেছে দু’চোখের সামনে।

ফেসবুক তুমি এত মন পোড়াও কেন বল’ত
কেন সবসময় কেড়ে নাও
আমার আদরের প্রহরগুলো।
তবে যাই হোক তোমার জন্মদিনে
আজকের প্রহরটা না’হ্য় তোমাকেই দিলাম।
শুভ জন্মদিন তোমায় ফেসবুক।

এখন শীতকাল

এখন শীতকাল

অপসৃয়মান মুখশ্রী
কানায় কানায় জলে ভরা,
মদির মোহে দুলছি ।
কম্পিত মাটি
শীতের তীব্রতা
অনুভের সময় নেই,
স্তন্যপায়ীর তালা খোলা।
কররেখা ছুয়েছে কপোল
তরঙ্গিত নদীর জো্ৎস্নায়
যুগল স্তনে খোজঁ খোজঁ রব চারিধার।
আশেপাশে কিম্বা দূরদুরান্তে
কাজে ব্যাঘাত ঘটল অনেক।
তিরিক্ষি মেজাজি সেই অবয়বে
শরীরের ভাষা শরবিদ্ধ আজ
অবেলায় প্রগাঢ় অকৃত্রিম নিস্তবদ্ধতা
অলীক কুনাট্য রঙ্গে রাঢ় নিদারুন ব্যস্ততা।
এখন শীতকাল।
উষ্ঞতার খোজেঁ আছে কেউ কেউ।।

বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

এই যে, হ্যাঁ আপনাকেই বলছি...

এই যে, হ্যাঁ আপনাকেই বলছি

এই যে, হ্যাঁ আপনাকেই বলছি-
রিদুয়ান
জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে
ত্যক্ত – বিরক্ত তবু বাধ্য হয়ে
আজন্ম জীবনটাকে টেনে বেড়াচ্ছেন
কলুর বলদের মত।
সকাল দুপুর রাত – আকাশ কুসুম স্বপ্নটাই সঙ্গি
চির চেনা অভাবটাতে যদিও বন্দি।
হ্যাঁ আপনি, আপনাকেই বলছি
আরেকবারে জন্মাবার সুযোগ পেলে
আপনি কি “আপনি” হয়েই জন্মানোর-
ইচ্ছা পোষন করতেন?
নাকি মিশে যেতেন তাদের ভীড়ে
আপনাকে আজ দেখে নাক সিটকানো
লোকগুলোর মাঝে।
পুত পবিত্র আরাম আয়েশে জীবনে
অনেক নির্মম সত্যগুলো না জেনেই,
মৃত্যূকে আলিঙ্গন করা লোকদের দলে
নিজেকে জন্মদিয়ে কবর দিতেন,
- ওদের সাথে না চলতে পারার ব্যার্থতার!!
আমি আমি হবার স্বপ্নই আবার দেখি
কারন জানি,
পৃথিবী মানুষ শূণ্য হয়ে যায়নি
এখনও সব সংগ্রাম সমাপ্ত হয় নি,
শ্রেনীর ব্যবধান ভাঙার সময় এখনো ফুরিয়ে যায় নি।।
হ্যাঁ আপনি, আপনাকেই বলছি
শেষ পর্যন্ত কি স্বিদ্ধান্তে উপস্থিত হলেন?