[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

মঙ্গলবার, ১ মে, ২০১২

কবিতা গুচ্ছ


এপ্রিল ৩০, ২০১২

সুখ কোথায়
সুখ তো পাইনে কোথাও
যেখানে খুজেছি সুখ;
নিত্য পেয়েছি যত যন্ত্রণা
কৃত্রিম সুখের নাই কোন ঠিকানা।
সুখ খুঁজতে করেছি ভুল
হৃদয়ের সুখ কী যে অতুল
ভাবছি ধন রতেœ মসগুল
মানব সুখের নিত্য মূল।
যত সব যাতনা
নেই কোথাও সান্ত্বনা
সবাই যে চঞ্চলতায়
আমাকে দেয় প্রবঞ্চনা।
প্রকৃত সুখ কোথায়?
তা তো মোদের অজানা
সৃষ্টি জীবের ভালবাসা
মোরা দিতে ভুলব না।
-০-
অপরাগ
তুমি নিশ্চয় নীড় অপরাগ
বাঁধিলে পণ গড়াতে পারো
বন লতার পাহাড় সাঁজ
তুমি তো অপরাগ।
গড়াতে পারো মানিক রতন
মনে ভাবো রাজা বাদশার ধন
দেখলেও হারিয়ে ফেল
কী যেন ক্লাপনিক মন।
নেইকো তাতে গন্ধ সাধ
চারদিক ছড়ালে আলোর ঝাঁক
নিবিড় বনে তিমির রাত
সত্যি তুমি অপরাগ।
-০-
পল্লী বধু
আয় মোর পল্লী বধু
গ্রাম ছেড়ে আয় শহরে
করিস না দেরি
শহরে খেলা দেখো যদি।
হায় মোর মানিক রতন
করবো তোমায় কত যতন
এখনো তুমি আছ বসে
নিবিড় ওই খোপরাতে।
শহরে যত কল কারখানা
এক নজর ঘুরে দেখাবো
যান বাহনে চড়ে বেড়াব
যদি শহরে বেড়াতে আস।
-০-
বাংলার বীর
হে বাংলার বীর
হাতে নাও দির্ঘ জয়ী তীর
বাংলার নির্ভিক লড়াকু সৈনিক
তুমি এই বাংলার প্রতীক।
সৈনিক তুমি করিও না দেরি;
দেখলে বাংলায় কোন সন্ত্রাসী
মনে বলে খেয়াল করো
অলসতাকে গুটিয়ে ফেল।
অবহেলা করো যদি;
আসবে তখন শত্র“র ফেরি
লড়াই করো বীর দর্পে
পাকড়াও করো দেশদ্রোহী।
-০-
অভাব
অভাব অভাব বলে তুমি
কত না হয়েছো হতাশ
অভাব কথাটি কী যেন
নিত্য চাহিদা যার প্রকাশ।
অভাবের কথা ভাবতে গিয়ে
জীবন তোমার যায় কাটিয়ে
নিত্য যখন পূরণ হলো
অভাব তো হারিয়ে গেল।
অভাব অফুরন্ত, সময় সীমিত
যার মাঝে জীবন অতিক্রমকৃত
যদি হতে চাও জয়ী, হতে পার;
চাহিদা কখনো অভাব না ভাব।
বিধাতা তোমায় দিয়েছ অভাব
যাও করে কাজ নিরলস স্বভাব
অভাবের মাঝে জীবন গড়ি
অল্পেই মোরা হবো খুশি।
-০-
সবুজে ঘেরা
এদেশ মোদের সবুজে ঘেরা
শস্য শ্যামল মাঠে ভরা
সেই মাঠে কাজ করে
কৃষানেরা সারা বেলা।
রোদ বাদলে খাটে তারা
ফুরায় না তাদের সাধ
খাল বিল আর ফসলে ভরা
এই বাংলার বিস্তৃর্ণ মাঠ।
সোনার ফসল ফলে যেথা
দিন কেটে যায় বেশ
সেই ফসলে গড়বো মোরা
সোনার বাংলাদেশ।
বনে বনে পাখি ডাকে
মিষ্টি সুরের কী কলোহল
সবুজে ঘেরা, গানে ভরা
বাংলাদেশের মাতৃকোল।
-০-
কান্না হাসির ভাষা
হে বঙ্গ তুমি রবী ঠাকুর ও
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের গান
চির অম্লান সূরে গাইছিলো যারা
বাংলা মোদের মাতৃভাষা।
হে বঙ্গ তুমি সেই রক্ত ঝড়া
কান্না হাসির ভাষা
তোমার তরে রক্ত দিয়েছিলো
বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা।
হে বঙ্গ পরাধীনতা থেকে রক্ষা করা
মোর স্বাধীনতা, মোর মাতৃভাষা।
সালাম,বরকত,রফিক আরো কত শহীদ
মায়ের কোল খালি করে
বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিলো
এই বাংলার রাজপথে।
হে বঙ্গ ঐ রক্ত ঝড়া হারানো বাক স্বাধীনতা
ওহে দামালেরা তোমরা হয়েছ শহীদ
তাই তো মোরা ফিরে পেয়েছি
হায়েনাদের কাছ থেকে মাতৃভাষা নিশ্চিত।
শহীদেরা আজ ঘুমিয়ে আছে
আমরা তাদের করব স্মরন
একুশে ফেব্র“য়ারী এলে।
-০-
হতাশা
কবি কেন নয় সজাগ
নয়নে কেন হতাশা ভাব
সুখ দুখ সৃষ্টির খেলা
জীব বৈচিত্রে ভবলীলা।
স্বপ্নের জীবন খনি
অলসতার কত গ্লানি
ভাবনাহীন মন নিয়ে
সফলতা পাবে না কী।
অবুঝ আত্মায় ভাবে কবি
নিরাশ কেন মানব জাতি
সান্ত্বনা কী দিতে পারি
হতাশা তো ভবঘুরি।
-০-
মনের বল
পাখ পাখালির কলোহলে
কত কথা পড়ে মনে
পথ চলতে মাঠে ঘাটে
মুক্ত বায়ু দোলা দিলে।
মুগ্ধ নবীন মুক্ত বাদল
ভাবনা ওদের কত অটল
যদি থাকত ডানা তারে
উড়াল দিত পাখির সারে।
বন অরণ্যে ঘুরে বেড়াত
মুক্ত প্রাণে সাধ মেটাত
অচেনা আর অদেখাতে
আপন ভাবনায় জানত।
যখন নদীর ঢেউ দেখত
সাত সমূদ্র পাড়ি দিত
গোধুলি বেলার চরণ ঢল
কত ভাবনা মনের বল।
-০-
পুতুলের বিয়ে
আজ পুতুলের বিয়ে
সানাই ঢলুক বাঁজবে
আত্মীয়রা সব কাঁদবে
পালকি চড়ে যাবে।
সকলে তো সেঁজে গুছে
পুতুলকে নিয়ে চলছে
পুতুল ছিল কত ভাল
সবাই যে কাঁদাল।
বর সেঁজে কে এল
পুতুলকে ছিনিয়ে নিল
এখানে সবার সঙ্গে ছিল
কেন একা চলে গেল।
পুতুল কী হারিয়ে গেল
না সে চির বিদায় নিল।
-০-
তুমি কে ?
সূর্যের রশ্মি তুমি
নীল আকাশের খেলা
ছড়িয়ে আছ সারা ভুবনে
মুক্ত ছবিতে আঁকা।
ফুলের পাঁপড়ি তুমি
আমার হৃদয়ে আঁকা
দৃপ্তি দিয়ে মুখটি ভরা
ঝলক দিলে চাঁদ সিতারা।
নও তুমি জ্বীন পৈরি
না কোন মুক্তা হীরা
তুমি কে ভাব একবার
শুধু মাটির দেহটা।
-০-

কোন মন্তব্য নেই: