কান্তা। আমাদের অপ্সরী কান্তা।
গতকাল পহেলা বৈশাখ কান্তার বয়স ৬ মাস হলো। ওর জীবনের প্রথম বর্ষবরণ। নববর্ষে কান্তা পরেছিলো ২০ বছর আগেকার লাল-সবুজ পেড়ে হলুদ শাড়ি। আমার ছোটবেলার শাড়ি এটা। তখন অনেকটা দুষ্টুমি করেই তুলে রেখেছিলাম, আমার মেয়ে পরবে বলে।
কান্তা পৃথিবীতে আসার প্রায় দেড় বছর আগেই ওকে নিয়ে গল্প-কবিতা লেখা শুরু। তখন ওর নাম লিখতাম “অপ্সরী”। এখন সে ই “অপ্সরী-কান্তা” । কখনও লিখেছি আমি, কখনও বা ভাইয়া। ভাইয়া আর আমার যৌথ প্রচেষ্টায় লেখা তেমনি একটা ছড়াঃ
** ছোট্ট পরী অপ্সরী **
আকাশ থেকে নেমে এলো
ছোট্ট একটা পরী,
বাবা-মায়ের চোখের মণি
নাম তার অপ্সরী।
দুরন্ত সে, মিষ্টি ভারী,
লক্ষ্মী মেয়ে আছে,
খুব আদুরে, ঘুরে ঘুরে
ফ্রক ছড়িয়ে নাচে ।
ডাকি তাকে ময়না-টিয়া,
আরও কতো নামে,
মিছামিছি ভান করিয়া
খুঁজি ডানে বামে।
চুলে ঝুঁটি, ফোকলা দাঁতে
হেসে ফেলে ফিক,
মানিক সোনা, হীরার কণা,
চাঁদের বুড়ি ঠিক।
বড় মামা এলে পরে
ভীষণ খুশি তার,
টাট্টু ঘোড়া, কাঁধে চড়া,
কে পায় নাগাল আর !
যে ই মা তাকে খাবার খেতে
ব্যস্ত করে তোলে,
এক লাফে সে ওঠে গিয়ে
বড় মামার কোলে।
দিনের শেষে বাবা তাহার
যেই ফিরেছে ঘরে,
জড়িয়ে ধরে চুমু সে খায়
বাবার কপাল ‘পরে।
বুকের সাথে জাপটে তারে
বাম হাতে আলগোছে,
ক্লান্ত বাবা কপাল থেকে
ডান হাতে ঘাম মোছে।
ঘরে ফিরে চোখ পড়ে যেই
সোনা মেয়ের মুখে,
বিশ্ব জয়ের শক্তি-সাহস
ফেরে বাবার বুকে।
আমার কান্তার মঙ্গলের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন