জীবনের যোগ বিয়োগ
কথা ছিল একটি নাকফুল
তামা-সোনা অথবা ঘাসফুল
এমন কোনো দায়বদ্ধতা
ছিল না কখনো
ভালোবাসার স্মারক
কয়েকটা সিম্বল প্রদর্শন
শাখা কিংবা সিঁদুর
আমাদের সংস্কৃতি।
তামা-সোনা অথবা ঘাসফুল
এমন কোনো দায়বদ্ধতা
ছিল না কখনো
ভালোবাসার স্মারক
কয়েকটা সিম্বল প্রদর্শন
শাখা কিংবা সিঁদুর
আমাদের সংস্কৃতি।
আমি ভেতরের জিনিস বাইরে
প্রদর্শনের পক্ষপাতি ছিলাম না
যেহেতু তুমি চাইলে
অসামান্যের প্রতীক সামান্য ঘাসফুল
আমি নাক ছিটকুলাম না বিদুরের খুদ
এ আমার সাধ্যাতীত নয়
চলে গেলাম তোমাকে নিয়ে
কর্মজীবী হোস্টেল থেকে কাছেই
শান্তি নগরের একটা সেকরার দোকানে
তখন শীতকাল তাই রমনায়
দুয়েকটা মরা ঘাসের দেখা মিললেও
ফুলের কোনো আনাগোনা ছিল না।
ভালোবাসা দৌড়ায় মন থেকে মানচিত্রে
নিক্তি দিয়ে ভালোবাসা মাপা
সমীকরণের ডানপক্ষ-বামপক্ষ মিলানো
জটিল সূত্রের কারসাজি
ক্যালকুলাস শ্রেণীকক্ষের বাইরে
এসে জ্যামিতিক আকার ধারণ করে
অথচ আমরা তখনো জানি না
ত্রিভুজের তিন কোণের সমষ্টি কতো।
জন্মমাসে ঘর বাঁধা নিয়ে তোমার কিছুটা
সংস্কার ছিল তাইতো হেমন্ত পালালো
একবার তোমার-আমার একবার লোকাচার
কিন্তু সাধারণ ইচ্ছা তত্ত্ব আমাদের বিপরীতে
প্রতিকুলতা আমাদের রুখতে পারে না
ভেঙ্গে ফেলি সমাজ কাঠামো-আদি প্রতিষ্ঠান
ভেঙ্গে ফেলি কোমলতার অণু-পরমাণু
ভেঙ্গে ফেলি দুজন দুজনাকে অজান্তেই
ভেবে দেখো কতোটা মূর্খ ছিলাম আমরা।
একটি কান্নাময় জীবনে সঁপে দিলাম নিজেদের
নুন আনতে পান্তা ফুরালে কিছুটাতো আনা হয়
পানি মিশিয়ে খেয়ে নিলে কিছু শক্তিতো পাওয়া যায়
জীবন থেকে জীবন ফুরোলে
অসীম শূন্যতা
চাপহীন-বায়ুহীন মহাকাশ জীবন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন