সঙ্গী ও সঙ্গীত
পূবের আকাশে উদিত সূর্যের সাথে জলের সহবাস দেখে মনে হয়
এতকাল তাকিয়ে ছিলাম ভুল নজরে ভুল কোন পাত্রের জলচ্ছবিতে
ক্ষণআয়ু নিয়ে জঠর ভেদ করে__ এই আলো পেলাম,
এই আবহ পেলাম।
এতকাল তাকিয়ে ছিলাম ভুল নজরে ভুল কোন পাত্রের জলচ্ছবিতে
ক্ষণআয়ু নিয়ে জঠর ভেদ করে__ এই আলো পেলাম,
এই আবহ পেলাম।
দূর্গন্ধময় ভাগাড় থেকে ভেসে আসে উপহাসের অট্টোধ্বনি
সঙ্গী খুঁজতে খুঁজতে হৃদয়ানুভুতি বেশ হয়রান- পেরেশান
সঙ্গী খুঁজতে খুঁজতে হৃদয়ানুভুতি বেশ হয়রান- পেরেশান
ছা-পোষা মানুষের এভাবে বাঁচা কত কাল?
চিরচেনা নদী আজ দেউলিয়া, সে যে গতিপথ হারিয়েছে
মাছেদের মা মা আর্তনাদে মুখরিত সময় জীবন
প্রতিক্ষার লহমাগুলো শেষ হয়ে যায় তবুও মেলে না
সেই সঙ্গী- সেই সঙ্গীত!
মাছেদের মা মা আর্তনাদে মুখরিত সময় জীবন
প্রতিক্ষার লহমাগুলো শেষ হয়ে যায় তবুও মেলে না
সেই সঙ্গী- সেই সঙ্গীত!
বাদ্যযন্ত্রের পক্ষাঘাতি অত্যাচার থেকে কানগুলো মুক্তি কামনায়
দূরে কোথাও- ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে নিশুতি-নিরবতায়।
দূরে কোথাও- ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে নিশুতি-নিরবতায়।
###################################################
চিয়ার্স
‘দিস ইজ ইউর’
মিটিমিটি আলো আর আবছা আঁধারের পসরায়
চারদিক থেকে সমস্বরে ভেসে আসে- ‘চিয়ার্স’
সাথে গেলাসের টুং টাং আওয়াজ
মিটিমিটি আলো আর আবছা আঁধারের পসরায়
চারদিক থেকে সমস্বরে ভেসে আসে- ‘চিয়ার্স’
সাথে গেলাসের টুং টাং আওয়াজ
গেলাস ভর্তি জলের মাঝে একখণ্ড বরফ ভাসে
ভেসে ভেসে গলে যায় নয়া দিনের নয়া বাহানা
ভেসে ভেসে গলে যায় নয়া দিনের নয়া বাহানা
রক্তচোষা আদুড়ে ঠোঁটে বরফ মাখা জলে ডুব দেয়
আর একদল মুজুরের শরীর থেকে তাজা রক্ত ঝরে!
চুমুতে চুমুতে জল ও ঠোঁটের বিশ্রী-বীভৎস সঙ্গমে
ভাগাড়ের কাছে জড়ো হতে থাকে অসংখ্য কঙ্কাল,
তাদারে জীর্ণ-শীর্ণ হাড় ও মগজবিহীন মাথার খুলি!
আর একদল মুজুরের শরীর থেকে তাজা রক্ত ঝরে!
চুমুতে চুমুতে জল ও ঠোঁটের বিশ্রী-বীভৎস সঙ্গমে
ভাগাড়ের কাছে জড়ো হতে থাকে অসংখ্য কঙ্কাল,
তাদারে জীর্ণ-শীর্ণ হাড় ও মগজবিহীন মাথার খুলি!
যতবার সমস্বরে উচ্চারিত হতে থাকে ‘চিয়ার্স’
ততবার মুখ থুবড়ে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বটবৃক্ষ!
ততবার মুখ থুবড়ে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বটবৃক্ষ!
**********************************
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন