শুকনো মাটির তৃষ্ণা
বেশ করেছি হতচ্ছাড়া
তুই মর, তুই ধ্বংস হ
তুই মর, তুই ধ্বংস হ
কপালে বুঝি এই ছিল! প্রেমের পূর্বাহ্নে তুলতুলে কোমল-কুসুমে কেলাসিত করেছি
বন্ধন-জাল।
উত্তাপক্লিষ্ট পিপিলিকার পথ ধরে কখনো হাটতে চায়নি ‘পা’।
প্রশস্ত রাজপথ
আরো প্রসারিত করে নিদিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে হেঁটেছে প্রতিটি পা।
সন্দেহ নাই, পা
আগবাড়িয়ে ভুল করেছে।
যদি পথকে অন্ধের মত অনুসন্ধান না করত;
পথ তুমি কবেই পথিক হারা
হয়ে যেতে।
এরপর…
বিকেলের ফিকে রোদ চোখে লেগেছে বহুবার।
বিকেলের ফিকে রোদ চোখে লেগেছে বহুবার।
স্বপ্নের রক্ত ক্ষরণ বসে বসে
দেখতে হয়েছে।
তবুও সবকিছু সয়ে গেছে নীরবে।
কম্বলটাকে মাধ্যম ভেবে নিজেকে আড়াল করার
ব্যার্থ চেষ্টা করেছি বারবার।
এক পাতা ঘুমের বড়ি হেরে দীর্ঘশ্বাসের কাছে।
তারপরেও কিছু বলতে গিয়ে যদি শুনতে হয়,-
খামোশ। ধ্বংস হ
খামোশ। ধ্বংস হ
হলাম না হয় ধ্বংস।
এক দুই তিন… এই যে দিলাম-দিচ্ছি এবার ঘুম।
এই নরাধম বিদায়ে
অস্থিত্ব রক্ষা হবে; হোক না।
একটি প্রজাপতি উল্লসিত ডানায় ছুটোছুটি করবে; করুক না।
এক দুই তিন…ঈশ্বর তোমার মঙ্গল আশ্রমে আমাকে নিয়ে মাফ করে দাও।
বাঁচতে চেয়েছি
কবুতরের চোখে প্রশান্তির প্রভা দেখে।
বাঁচতে চেয়েছি একটি রঙ্গিন ফ্রেমে সরলরৈখিক
সাপলুডু খেলে।…আর বাঁচা হল না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন