[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১১

অস্পষ্ট আবেগ

অস্পষ্ট আবেগ

 নভেম্বর ২৪, ২০১১

মনের আবেগ গুলো
কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে সব,
ঠিক যেন শীতের সকালে
ধোয়া ধোয়া কুয়াশা ভেজা স্মৃতির মতো ।
আগের মতো লিখতে পারিনা কবিতা,
না লিখতে পারি গান,
খাতাটি নিয়া বসলেই
এক দুর্বোধ্য চাপা যন্ত্রণায় হারিয়ে যাই।
অনুভূতিগুলো অবাধ্য হয়ে ছুটাছুটি করে চারিপাশ।
সংমিশ্রণের ব্যর্থতা আর এগিয়ে যাওয়ার জড়তা
এ দুটো মিলে আমাকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়।
বুঝিনা কেন এমন হয়।
বিবেক এর কাছে প্রশ্ন রাখি, উত্তর মেলে না।
মেলে চাপা গোঙানি,
গুমরে গুমরে কান্নার প্রচণ্ড শব্দ।
ও ফ !! এ যন্ত্রণার অবসান হবে কবে??
অতিষ্ঠ মন সব ভেঙ্গেচুরে একাকার করে দিতে চায়,
ধ্বংসের এক প্রবল নেশা চেপে বসে মাথার ভেতর
যেন ক্ষুধার্ত হাঙ্গর পেয়েছে রক্তের গন্ধ ।
কি লিখতে বসলাম আর কি লিখলাম
ঠিক যেন বৃষ্টি হব হব করে
বৃষ্টি না হওয়া এক রোদ্রউজ্জল আকাশ ।।
************************************
এই কবিতাটি সৃজন নামক ই-বুক এ দেয়া হয়েছিল।

তোমাকে...

তোমাকে...
নভেম্বর ২৮, ২০১১

তোমার সাথে তোমার হাতে,
কত কত স্বপ্ন ভাঙ্গে
মনকে সাজাই নতুন করে,
রংধনুর ওই সাতটি রঙে।
নতুন করে স্বপ্ন বাঁধি,
গড়তে যে ঘর তোমার সাথে।

স্বপ্ন ভাঙ্গ রোজ প্রভাতে,
ঘুমের ভেতর ঘুম ভাঙাতে
কষ্ট করে আবার ঘুমাই,
তার পরেও সুখ যে না পাই
কেন এতো হিংসে তোমার,
আমার সাথে সুর মেলাতে।

ফের যদি আর তোমায় দেখি,
রোজ সকালে ঘুম তাড়াতে
ব্যাটারি খুলে রেখে দেব,
দেখব জাগাও কোন কলাতে।

ছোট্ট ঘড়ি, মিষ্টি ঘড়ি,
আর দিয়োনা অ্যালার্ম তুমি
স্বপ্নগুলো যাচ্ছে হয়ে,
প্রানহারা এক মরুভূমি।।


****************
স্কুলে পড়ার সময় লিখেছিলাম।

বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১১

“একটা কবিতা লিখতে চাই!”

“একটা কবিতা লিখতে চাই!”

নভেম্বর ২৪, ২০১১

একটা কবিতা লিখতে চাই,
ভালোবাসার কবিতা!


যে কবিতায় থাকবে শুধু স্বপ্ন,
বাস্তবতা ছেড়া রঙ্গিন আলো,
থাকবে না কোন অপূর্ন ভাষা,
শুধু তুমি আর আমি,
সাথে একান্ত কিছু কথা!

কবিতায় থাকবে রংধনু ভোর,
শিশিরের ফোটায় সূর্যের আলো,
কুয়াশার চাদরে তুমি আর আমি,
আর অভিমানি চোখের কোনে-
কয়েক ফোটা জলের টলোমলো!
একটা কবিতা লিখতে চাই।

শুধু তোমার জন্য,
ভালোবাসায় ঘেরা প্রতিটি শব্দ,
আর তোমার আমার -
জালবোনা কিছু স্বপ্ন!

রোদ নীল মৌমাছি ও মুখোশ

রোদ নীল মৌমাছি ও মুখোশ

কখনো রোদ নামে আমার উঠোনে , আমি হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দেখিনি রোদের আদর , চোখ মুদে রোদের মমতা হৃদয়ে পুরে নিই , তোমরা যখন আরাম কেদারায় বসে পা ঝুলিয়ে দাও আয়েশি বাতাসে একটা নীল মৌমাছি আমার চোখের পাতায় চুম দেয় , তোমাদের আয়েশি জীবন দেখিয়ে বলে ‘ ও টা তোর জন্যে নয় , আমি তোকে ঘুম দেব , বুকের ভেতর পুষে রাখা নরম ওম দেব ‘
তোমরা কি বলতে পার ! কেন রোদ কখনো হলুদ কান্না ছড়ায় ? আয়েশি বাতাস জীবনকে এ কেমন প্রলোভন দেয় ? নীল মৌমাছি প্রেম নিয়ে তবু কেন অবিরত প্রেমহীনের দ্বারে ?
সমাজ সভ্যতা অসভ্যতা এই সবইতো তোমাদের সৃষ্টি ! মুখোশ এঁটে ক্লান্ত মানুষের দল কি অবলীলায় অভিনয় করছে জীবনের সাথে
বলতো ! যখন রাতের নিস্তব্ধতায় শ্মশানের নীরবতা নামে তোদের বুক চীরে কি একটি দীর্ঘশ্বাস বের হয় না ! অস্ফুটে কি বলে ওঠো
না আহ্ জীবন ! এত ক্লান্তি তবু ঘুম আসে না – হলুদ ব্যাধিতে আক্রান্ত তোমার সবুজ বিছানাটি জেনেছ কি ; কেন এমন প্রহসন আমাদের ? বেঁচে উঠবার নামই যদি জীবন হয় তবে নিয়তই কেন গুপ্ত হত্যাকারী আমি-তুমি-আমরা ??

বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১১

পরম্পরায় খুঁজে ফেরা

পরম্পরায় খুঁজে ফেরা

aza
কেন লিখতে মন চায় !! উত্তর জানা নেই। যখন পথ পাই না খুঁজে, নির্বাণ খুঁজি লিখায়। কবিতা আমার অলিন্দ ও নিলয়। হয়কি- হয়না- খুঁজতে থাকে অনেকেই। আমি কথা বলি আমার চেতনায়, আমার ভাষায়, আমার কবিতায়। যদি কেউ শুনতে পায় সেই কথা, তবে- তারাই পড়বে আমার লিখা। সে যদি একজনও হয়।
আমি যেমন ছেড়েছি সব। … ছেড়েছি সব কিছু। তেমনি তুমিও ছেড়ে যাবে একদিন। যেতেই হবে তোমাকে। তারপর …। অনেকটা পথ অতিক্রান্ত হবে যখন, কোলাহল কিছু থামবে, বিশ্বাসের ভ্রান্তিবিলাস খসে পড়বে একে একে। শ্রাবণে কি, হাড়-হিম শীতে। একাকী শূন্যতার দিকে চেয়ে ধোঁয়াশার বুকে ভেসে উঠবে তোমার চোখে আমার মুখ।
তোমাকে যেতে হবেই। আরো অনেকটা পথ এগুতে হবে। যেমন আমাদের পূর্ব পুরুষদের চেয়ে অগ্রগামী এই আমি। অংশত এবং কিছুতো সত্য। প্রেমিক সজ্জন, বান্ধব- বান্ধবী। অভাব হবেনা নিত্য নতুন সহযোগীর। ঘিরে থাকবে ভরে থাকবে কদম্ব কামিনী। সেই সাথে Cristian Dior, Richi ও Gucci আরো কত কি।
ভালোবাসার কথা শোনাবে অনেকে, ভালোবাসবে না। মাথায় উঠাবে, পুজার ভান করবে, আছড়ে দেবে নানান প্রকার। ভালোবাসবে না। অন্নদা দিদি খুঁজবে বার বার।
তবু একজন মানুষ খুঁজি। সব সময় খুঁজি। খুঁজে খুঁজে মরি। আসরে, উৎসবে, আয়োজনে, সমাবেশে। এমনকি সান্ধ্যভ্রমণ ও প্রাতঃভ্রমণেও। খুঁজি শুধু একজন মানুষ। যার সংস্পর্শে নষ্ট হয়ে যাওয়া মূল্যবোধ ‘অরণ্যের’ মতো ফিরে পেতে পারি। মানুষের যা কিছু মর্যাদার যা কিছু অর্জন- পথ খুলে দিতে পারে যে নির্যাস। সেই সেই মানুষকে খুঁজি। কে দেবেই আশ্বাস !! খুঁজে অহরহ। মুছে দিক সেই… এই ঘৃণা- অবিশ্বাস- সন্দেহ। পারস্পরিক ভেদ বিদ্বেষ। খোল- নলচে বদলে দেয় এমন মানুষ।
মৃত্যুই কেবল মৃত্যুই ধ্রুবসখা
যাতনা কেবল যাতনা সুচির সাথী।
অতএব কারো পথ চেয়ে লাভ নেই
বিরূপ বিশ্বে মানুষ নিয়ত একাকী।

মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০১১

আবাহন

আবাহন

aba
রাত্রির বিষণ্ণ নীরবতা ভেঙ্গে যখন স্বপ্নীল চৈতন্য
নিয়ে ফোটে রোদের মঞ্জরী-
জীবনের মাঠে; রূপোলি বীজের ঘ্রাণ ভেসে আসে দূর
বনভূমি থেকে; বিরামহীন দ্রুতলয়ে ফুটতে থাকে ভোর-

আলোকমন্ডিত পৃথিবী থেকে দ্রুত অন্ধকার সরে যায়,
জাগতিক বৃক্ষের বুক থেকে বিদায় নেয় রাত্রি, তখন আমি সৃষ্টির
দর্পণে রাখি হাত; পরিবর্তনশীল বিশাল ব্রহ্মাণ্ড তাতে দেখতে পাই আমি-
কেউ যেন নিঃশব্দে আর্তনাদ করে ওঠে, যেন তাকে নির্মমভাবে
শুষে নিয়ে আমসত্ত্ব বানাচ্ছে কোন প্রিটোরিয়া সরকার, তুমি শোননি?

তবে ভয় পাচ্ছো কেন মিছে? সে শোষিতকে তুমি চেনো, চেনো তার
মিহিদানা কণ্ঠস্বর; তার ভাঙাচোরা তোবড়ানো শরীরের ইতিহাস তোমার
জানা। তিল ফুলের মতো ছোট্ট স্বপ্নের কথা।
সে তোমাকে বলেছিলো।

চেয়েছিল।
জামরুল ফলের মতো সবুজ স্বাধীনতার চারাগাছ, আর
নাগরিক অধিকার বন-বাদাড়ে ঘুরবার। অথচ সেই অমিয় স্বপ্ন যার
লুণ্ঠিত হয়েছে বিষাক্ত- বিভায়, সে আর কেউ নয়,

মজদুর সে তোমার- আমার, আমাদের আত্মজ, কেন করো তবে
বাহুল্য লৌকিকতা? কেন এ বিবমিষা তোমার? বিপ্লবে বিশ্বাস আনো,
বুনি দু’হাতে বিপ্লবের বীজ কঠিন মাটিতে, বিশ্ব সংসারে সুখদিন আনি।

আজ আমি নেই

আজ আমি নেই

আজ আমি আমার মাঝে নেই
থাকতেও যে চায় না আর,
তোমাদের সবার মাঝে বেচে থাকত
যেখানে পশুরা প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

এক জ্যান্ত সুস্থ মাংস পিন্ড
বেচে থেকেও যা মৃত লাশ
অতীত আমার মনকে কুকড়ে দেয়,
তখন শুধু যে মনে হয়
আমি যে আমার মাঝে নেই।

শিরা উপশিরায় জেগে উঠা ক্রোধ
বের হয়ে আসে শত যুগের দীর্ঘশ্বাস এর মতই;
মুখ দিয়ে কোন কথা বের হয় না
কারণ আমি যে আর আমার মাঝে নেই।

স্বতস্ফুর্ততার লেশ মাত্র নেই এখানে
আছে শুধু আগুনের জলন্ত শীখা
সেই আগুনে পরে গেলে সব শেষ;
শুধু একটা কথাই বলবে অন্তরটা
আমি যে আজ আমার মাঝে নেই।

Super Mom

Super Mom


Mom, you're a wonderful mother,
So gentle, yet so strong.
The many ways you show you care
... Always make me feel I belong.

You're patient when I'm foolish;
You give guidance when I ask;
It seems you can do most anything;
You're the master of every task.

You're a dependable source of comfort;
You're my cushion when I fall.
You help in times of trouble;
You support me whenever I call.

I love you more than you know;
You have my total respect.
If I had my choice of mothers,
You'd be the one I'd select!

সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০১১

11 11 11


যখন সকল কথা শেষ হয়ে যায়/ না বলা কথার ভার মূক স্তব্ধতায়
কাঁপে ভীরু প্রদীপের শিখার মতোন।
দিনে যতো আনাগোনা/ কথা দিয়ে জাল বোনা
থেমে যায় একদিন হঠাৎ কখন।
থামে না তো স্রোত, শুধু পড়ে যায় ঝরা দল।
... তখন হৃদয়ে নামে ভোরের আকাশ/ পাখা মেলে বুনো বালিহাঁস,
সকালের রোদ গায়/ কালো মেঘ ছেড়ে যায়/ ভুলে গেছে বাসা তার
জানে শুধু সে সাঁতার।

শুকনো মাটির তৃষ্ণা


শুকনো মাটির তৃষ্ণা

বেশ করেছি হতচ্ছাড়া
তুই মর, তুই ধ্বংস হ
কপালে বুঝি এই ছিল! প্রেমের পূর্বাহ্নে তুলতুলে কোমল-কুসুমে কেলাসিত করেছি বন্ধন-জাল। 
উত্তাপক্লিষ্ট পিপিলিকার পথ ধরে কখনো হাটতে চায়নি ‘পা’।
প্রশস্ত রাজপথ আরো প্রসারিত করে নিদিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে হেঁটেছে প্রতিটি পা।
সন্দেহ নাই, পা আগবাড়িয়ে ভুল করেছে। 
যদি পথকে অন্ধের মত অনুসন্ধান না করত; 
পথ তুমি কবেই পথিক হারা হয়ে যেতে।
এরপর…
বিকেলের ফিকে রোদ চোখে লেগেছে বহুবার। 
স্বপ্নের রক্ত ক্ষরণ বসে বসে দেখতে হয়েছে।
তবুও সবকিছু সয়ে গেছে নীরবে। 
কম্বলটাকে মাধ্যম ভেবে নিজেকে আড়াল করার ব্যার্থ চেষ্টা করেছি বারবার।
এক পাতা ঘুমের বড়ি হেরে দীর্ঘশ্বাসের কাছে।
তারপরেও কিছু বলতে গিয়ে যদি শুনতে হয়,-
খামোশ। ধ্বংস হ
হলাম না হয় ধ্বংস। 
এক দুই তিন… এই যে দিলাম-দিচ্ছি এবার ঘুম।
এই নরাধম বিদায়ে অস্থিত্ব রক্ষা হবে; হোক না। 
একটি প্রজাপতি উল্লসিত ডানায় ছুটোছুটি করবে; করুক না। 
এক দুই তিন…ঈশ্বর তোমার মঙ্গল আশ্রমে আমাকে নিয়ে মাফ করে দাও।
বাঁচতে চেয়েছি কবুতরের চোখে প্রশান্তির প্রভা দেখে। 
বাঁচতে চেয়েছি একটি রঙ্গিন ফ্রেমে সরলরৈখিক সাপলুডু খেলে।…আর বাঁচা হল না।

I love you because

I love you because

I love you because
you are honest and strong
right here, in my arms
is where you belong
you hold me ,console me
and you are my best friend
i can,t live without you
no need to pretend.
i love you because
you light up my days
fill my heart and my soul
with your sweet loving ways
i love you because
you never pretend
and if i,m hardheaded
you allways give in
you,re so easy to love
so hard to forget
faithfull and true
since the day that we met
i could search the world over
and still never find
a love like yours
you are one of a kind
i love you because
you are quick to forgive
overlooking my faults
each day that i live
so slow to anger
so quick to respond
to my loving wishers
above and beyond.

If Love Wasn't Love

If Love Wasn't Love

What if Love wasn't Love, but Love was lust...

And all things known to loyalty were betrayed by trust?

Have passion become misery, sorrow or grief,

Things to which we have in, now valued disbelief.

If misery truly Loved company, then how could it hurt?

Togetherness and happiness... taken for more than they're worth.

What if Love wasn't Love, but Love was lust?

Surely all we know and stand for wouldn't mean m

My first love

My first love

You're arms wrapped tight against me, i can hear the beating of your heart, wanting to stay in this moment, never wanting to part.

I turn around and look at you, and stare into your eyes, looking for a clue that you haven't been telling me lies.

You Lent in at that moment as we shared our very first kiss, a moment I'll treasure forever a moment I'll always miss.

My body turned all tingly i felt my face get hot, i turned around so quickly just to make sure we didn't get caught.

A smile reaches across my face as i whisper i love you, then suddenly i panicked what if you don't love me too?

But then i heard you whisper i love you back, it made me feel so whole again now knowing what i lack.

If i could live one moment over and over again in my mind, it would be this moment, of us being so kind.

My love for you will run until the day i die, and even after I'm dead please don't even cry.

We have something that grown-ups have yet to see, because we just simply love each other you as you and me as me.

I miss you daddy



I miss you daddy


Daddy come back.
I want you back.
Why did you have to go.
It's just not the same without you.
We still get mail with your name on it.
It makes me sad every time i see the envelopes.
Mommy's always crying.
She's always yelling too.
She makes me cry a lot but not as much as you.
I'm always thinking about you.
Your always making me teary-eyed.
I love you daddy why did you have to go.
I miss you a lot but you obviously don't know.
Otherwise you wouldn't have had to go.
God makes me mad because he took you away.
It's hard not to cry in church but i go anyway.
Sometimes when I'm all alone and i have time to think.
I think about you and i cry and cry and cry.
Some people think "oh you should be over this"
But then i think to myself you don't know how it feels to be in this pain
or to how hard it is to make it go away.
Councilors try to help me but they don't help at all.
My head hurts all the time, especially when I'm about to cry.
Its hard to type down these words as tears blur up my eyes.
When i try to speak about you i choke and then i start to cry
I miss you daddy why did you have to go.



দুটি কবিতা.............



সঙ্গী ও সঙ্গীত

পূবের আকাশে উদিত সূর্যের সাথে জলের সহবাস দেখে মনে হয়
এতকাল তাকিয়ে ছিলাম ভুল নজরে ভুল কোন পাত্রের জলচ্ছবিতে
ক্ষণআয়ু নিয়ে জঠর ভেদ করে__ এই আলো পেলাম,
এই আবহ পেলাম।
দূর্গন্ধময় ভাগাড় থেকে ভেসে আসে উপহাসের অট্টোধ্বনি
সঙ্গী খুঁজতে খুঁজতে হৃদয়ানুভুতি বেশ হয়রান- পেরেশান
ছা-পোষা মানুষের এভাবে বাঁচা কত কাল?
চিরচেনা নদী আজ দেউলিয়া, সে যে গতিপথ হারিয়েছে
মাছেদের মা মা আর্তনাদে মুখরিত সময় জীবন
প্রতিক্ষার লহমাগুলো শেষ হয়ে যায় তবুও মেলে না
সেই সঙ্গী- সেই সঙ্গীত!
বাদ্যযন্ত্রের পক্ষাঘাতি অত্যাচার থেকে কানগুলো মুক্তি কামনায়
দূরে কোথাও- ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে নিশুতি-নিরবতায়।

 ###################################################
চিয়ার্স

‘দিস ইজ ইউর’
মিটিমিটি আলো আর আবছা আঁধারের পসরায়
চারদিক থেকে সমস্বরে ভেসে আসে- ‘চিয়ার্স’
সাথে গেলাসের টুং টাং আওয়াজ
গেলাস ভর্তি জলের মাঝে একখণ্ড বরফ ভাসে
ভেসে ভেসে গলে যায় নয়া দিনের নয়া বাহানা
রক্তচোষা আদুড়ে ঠোঁটে বরফ মাখা জলে ডুব দেয়
আর একদল মুজুরের শরীর থেকে তাজা রক্ত ঝরে!
চুমুতে চুমুতে জল ও ঠোঁটের বিশ্রী-বীভৎস সঙ্গমে
ভাগাড়ের কাছে জড়ো হতে থাকে অসংখ্য কঙ্কাল,
তাদারে জীর্ণ-শীর্ণ হাড় ও মগজবিহীন মাথার খুলি!
যতবার সমস্বরে উচ্চারিত হতে থাকে ‘চিয়ার্স’
ততবার মুখ থুবড়ে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বটবৃক্ষ!

**********************************

বাঁচব বলে, বাঁচতে চাই..............

বাঁচব বলে, বাঁচতে চাই...


পা হাঁটে-পা দৌড়ায়, উৎসব ঢালা রাজপথে কত শত পা
হঠাৎ শোনা যায়, ‘হেঁটে হেঁটে হাঁটে না, হাঁটি হাঁটি হেঁট না’
জীবনের বাহনে দুটি চাকা চলতে চলতে হাঠাৎ থেমে যেন
থামে না; থামতেই চায় না। সূর্যকিরণে বিকশিত হোক সব
চিত্ত। কলুসিত মুখ, কলুসিত দৃষ্টি হারানো জলে ধুয়ে যাক!
দিন নেই, রাত নেই কতক পাখি উঁকিঝুকিই মারে সমস্বরে
কতক পাখি উড়াল দিয়ে ছুঁই ছুঁই করে, ছুঁয়ে ফেরে অসীম!
হায়রে পাখি তুমি পথ চেনো পথিক চেনো না! তাঁকেও না,
যে কাঁচের বোতলে রবি শস্য ফলাবে বলে শপথ নিয়েছে…
সে জন্ম প্রতিবন্ধী। কিন্তু তুমি? তুমি যে বিবেক প্রতিবন্ধী!




মেঘ-ডম্বর শাড়ি


মেঘ-ডম্বর শাড়ি...

  1. কুপির আলোয় মুখ দেখা যায়
    কুসম নামের মেয়েটি মলিন, ব্যথার ভাষা চোখে মুখে
    দীর্ঘ কালো কেশের বেশে ওঁচা আঁধার খেলে চলে
    লোভের দ্বারে কুকুর-বিড়াল দাঁড়িয়ে থাকে
    মলিন মুখের মেয়েটি দেখে…
    গোলাপ থেকে পাপড়ি খসে
    গাছ থেকে সেই ফুল
    মালি বলে নিজের দোষে গোলাপ করলো ভুল
    কবর-বেদীর কাচা ঘাসে সূর্য কিরণ নাচে হাসে
    মৃত জনের ঘুম ভেঙ্গে যায়
    লাশ গুলে তাই মুক্তি পায়
    কোন বাতাসের লাগলো দোলা
    নাচে চাঁদের মুক্ত-মনি সোনার খনি
    কুসুম নামের মেয়েটি এমনি…
  2. পথের ধারে বিলাপ করে ভুখা ও অনাদ্র মন
    বাতাস গুলো বেজায় ভারী ‘আনন্দ সঙ্গম’
    নদীর জলে কেশের স্নান
    রুদ্র স্বরের মেঘের স্নান
    কোথায় যাবে মেয়েটি?
    প্রশ্ন যখন পাহাড় করে
    প্রশ্ন যখন সাগর করে
    প্রশ্ন যখন প্রশ্ন হয়ে একলা একলা ঘোরে
    উওর সন্ধানে…
    মুখোশ নামের মানুষ গুলো লেবুর জলে ঠোঁট লুকিয়ে
    হাসে!
    অবাক দেশে রূপ আর যৌবন একই কোষে বাঁচে!
    মুখোশ হাসে, মুখোশ হাসে
    অবাক দেশে, অবাক দেশে
  3. চন্দ্র গেছে সমুদ্র সৈকতে
    মুক্তা, ঝিনুক কড়ির মালা পেলে
    সাজাবে যে বাসব ঘর, সবাই হবে পর!
    উল্টো স্রোতে মাঝি ও মাল্লার তরীর প্রাণ সংহার
    মেয়েটি কি করবে?
    দুধে নিজেকে ডোবাবে
    নাকি বেঁচে থাকার চেয়ে ওপাড়ে চলে যাবে?
    প্রশ্ন থেকেই যায়…
  4. বাগান বিলাস ঘ্রাণহীন ছলনায় জড়িয়েছে সৌন্দর্য
    মন ভালো নেই পাপ থেকে অধিকতর নিচের অবস্থার
    থাকবার কথাও নয়… থাকেও না
    চিলেকোঠার দ্বার খোলা, একটা শব্দ শোনার প্রতিক্ষায়
    “ভালোবসি”
    ধানের চিটে
    ধান চ্যাপ্টা চিঁড়া
    ধান আঁটি ও ভগ্নাংশ গুলো
    মূল্যহীন বস্তু আধারে মূল্য লুকিয়ে রয় নীরবে-দৃষ্টি গোপন করে
    মেয়েটি কি তাহলে মূল্যহীন, পাপ নাকি ভ্রমে জড়ানো কুৎসিত?
  5. সবুজের কাছে মেয়েটি রূপের পরীক্ষা দিয়েছিল
    পাস করে গেছে
    নদীর কাছে মেয়েটি অশ্রুর পরীক্ষা দিয়েছিল
    পাস করে গেছে
    আকাশের কাছে মেয়েটি উদারতার পরীক্ষা দিয়েছিল
    পাস করে গেছে
    বৃক্ষের কাছে ছায়ার পরীক্ষা দিয়েছিল
    পাস করে গেছে
    সকল পরীক্ষায় মেয়েটি পাস করে গেছে
    তারপরও তার চলতি পথে এত বাধা কেন?
  6. গাভীর ওলানে মুখ লুকিয়ে বাছুর কি চায়?
    মেয়েটির চাওয়াও এর থেকে বেশী ছিল না
    বসন্ত আসবে ভেবে কোকিল কণ্ঠে মুক্ত ঝরে!
    মেয়েটির কণ্ঠে এর চেয়েও মধুর ছিল শ্রোতা মুগ্ধ করবার
    সময় ও সুযোগের অভাবে অহেতুক শ্রম
    পরিণামে বাতাস দেয় না…
  7. জড়সড় হয়ে কসুম বিছানার এক কোণায়
    মুখে মগবাজারের খিলি পান
    ঠোঁট লালের আস্তরণে বর্ণীল
    পুর মুখ মেকাপের নিচে ঢাকা পড়ে আছে
    যেন প্রকৃতির উপর মানব সৃষ্ট অতি প্রকৃতি…
    ইচ্ছা মতন আঁকা আমার তুলিতে আপন রূপের শরীর
    তেল চিটচিটে শরীরে বিরক্তি আর ক্লান্তির ছাপ
    প্রভু ভক্ত নয় এমন কুকুরের মুখে এভাবে কত দিন?
    কত কুসুম আঁশটে হয়ে যায়…
    লবণ বেশী হওয়া তরকারীতে যতই পানি ঢালি
    মুখ, মন, জিহ্বা কেবল লবণের স্বাদ পায় ও নেয়!
  8. নীল আকাশ নীল বিষে ছন্ন ছাড়া
    খেজুর রসে মাদকতা আসে না, চাই পচা তালের রস
    রসে রসালো মাদকতা, মুক্ত মনা পাখি সব করে ওঠে কলরব
    শুরু হবে শুরুতেই শেষ~~
    ঘাস ফড়িং নেচে চলে ডালে ডালে
    মনের মত আনচান করে দেবীমূর্তির লাল চোখ
    যেন মুহুর্তেই স্বর্গীয় বৃক্ষ থেকে ছিড়ে পড়বে
    একটা আধ পাকা আপেল!
    আপেলের দেহে জ্বর থাকবে
    আপেলের দেহে উষ্ণতা থাকবে
    আপেলের শরীরে এক টুকরো দাগ লেগে থাকবে
    দাঁতের দাগ…
    নখের দাগ…
    সবে মাত্র ক্ষত চিহ্নের স্পষ্ট দাগ
    বিষদ ছোঁয়ানো নীল দাগ
    জ্বালাময় ইস্পাতের শরীরে লেগে থাকা দাগ
    তপ্ত বালুতে পোড়া পিঠের দাগ
    এত দাগ!
    এত এত দাগ!
    এত এত দাগ নিয়ে মেয়েটি বাঁচতে পারবে তো?
  9. পেরেকের পর পেরেক ঠুকে যাচ্ছে একের পর এক
    অবলা অনুভূতি নিতান্তই ভোতা অস্ত্রের মত ঘুমিয়ে গেছে
    কবুতর ডাকতে ভুলে গেছে
    মেঘ দেখেও ময়ূর সামান্য বিচলিত নয়
    দক্ষিণের বায়ুতে অতৃপ্ত হাহাকার
    মৃদু মন্দা মনের বাসর কোন শ্রাবণ সন্ধ্যায়?
    শেফালী ফুটতেই মলিন কেন?
    বকুল ফুল দেবদাসের ন্যায় মাতাল হয়ে পড়ে আছে নিচের
    পৃথিবীতে!
    পিপিলিকার মত আগাম খাদ্য সংগ্রহ করে মেয়ের লাভ কোথায়?
    ঐ জীবনের কুসুম অত খাদ্য কি করবে?
    চাহিদার অতিরিক্ত কোন কিছু যেমনটা ভালো তেমনটা খারাপ…
  10. পূর্ণিমার আলোক উজ্জ্বল রাতের আকাশে নেমে আসে স্বর্গীয় হুর পরী
    কুসুমের ঠিকানা কোথায়?
    কোন পাত্রের আকার ধারণ করে কুসুম কুসুমিত হবে?
    সকল ক্রিয়ার বিপরীত একটি প্রতিক্রিয়া থাকে
    বিজ্ঞানের তত্ত্ব কথাকে সত্যি প্রমাণ করবে কে?
    মেয়েটা আঁচলে মুখ লুকিয়ে স্বর্গের পাতিলে রাখা খানা-পিনার
    চিত্রকল্প চোখে ভাসাতে পারে
    কিন্তু খাবার জন্য যে দম চাই
    যে তীব্র আকাঙ্খা থাকা চাই
    স্নেহ পদার্থের দিকে ঝোঁক চাই
    পারস্পারিক সমঝোতা চাই
    মেয়েটার এসব কিছুই নাই…!
    সরল-তরল দৃষ্টি
    ভালো লাগার শূন্য জ্ঞান
    বিপরীত পাত্রের দিকে অসহায়ের মত তাকিয়ে থাকা
    কোন মানবীর পরিচায়ক?
  11. রিমঝিম বর্ষায় আকাশ কাঁদে
    সাথে মেঘলা মেয়ের চোখ ও ব্যথিত বুক
    বুদ্ধিদীপ্ত মরীচিকা ভ্রমে মেঘলা মেয়ের মন ও মানসিকতা
    অনেকাংশে দেয়ালের পিঠে ঠেকে গেছে…
    দিন চলে যায়
    রাতের পর রাত
    এক একটি রাত যেন সাদা সূর্যে স্নান করে
    নিকষ আলোয় আলেয়ার মুখে একটা তিল
    তিলটা আগে ছিল বুকের কাছে
    সরতে সরতে এসে দাঁড়িয়েছে ওষ্ঠের ঠিক নিচে
    সামান্য নিচে
    চুম্বন ক্ষেত্রের অনেকটা কাছাকাছি…
    এভাবেই সময়ের সাথে মেয়েটি বদলে গেছে লোকচক্ষুর অন্তরালে…
  12. পোড়া মাটি ফলকে পুড়তে পুড়তে দুঃখ গুলোর
    রং ও রূপ পাল্টেছে
    রংয়ের শরীর নীল থেকে গাড় নীল
    রূপের শরীর এলোপাতাড়ি ধূসর
    স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ যখন মুখোমুখি বিবাদে জড়ায়
    তখনি বানান ভুল হয়~
    একটি শুদ্ধ বানান একটি বিশুদ্ধ পাপড়ি
    ভুল হলেই যেন খসে পড়ে
    জন্মান্ধের মত… পিপিলিকার পিঠের উপর
    দুঃখ হয় দুঃখের জন্য
    কিভাবে কুসুমের দেহে আশ্রয় নিয়েছে?
    কি নির্বোধের মত মাথা গেড়ে
    সর্বনাম, অব্যয় সাত পাঁচ ভুলে
    কিভাবে আশ্রয় নিয়েছে দুঃখ?
  13. চিহ্নিত পথের একোন আগুনের লেলিহান শিখা?
    দাউ দাউ করে সর্বনাশা আগুন জ্বলছে
    আগুনের সাথে সাথে পানি জ্বলছে!
    পানির সাথে ‘অক্সিজেন জ্বলছে’!
    রূপের সাথে কামনা জ্বলছে
    ঘিয়ের সাথে জিহ্বা জ্বলছে
    জিহ্বার সাথে ঠোঁট
    ঠোঁটে চুম্বন
    জ্বলছে…
    পায়ে
    পায়ে শৃঙ্খল
    পায়ে পৃথিবীর ফাঁদ
    ফাঁদে বিদ্যমান আছে মৃত্যু
    মৃত্যুতে কচি শালিকের ডাক
    ডাকের মাঝে লুকিয়ে আছে জীবন্ত কিংবদন্তি
    ক্ষমা করো মেয়ে, ঘুমন্ত চোখে তোমায় নারী ভবা যায় না!
  14. সেত সেতে নর্দমার শ্যাওলা ঘোলা পানিতে পৃথিবীর চোখ
    আকাশটা নেমে এসেছে দৃষ্টি শোষণে
    নীড় সন্ধানী পাখি নীড় খোঁজে
    চৌরাস্তার মোড়ে নতুন গজানো অসুধের দোকানে
    এখন নাকি “জন্ম বিরতিকরণ পিল” মেলে…
    কার জন্ম?
    কিসের জন্ম?
    কোথায় জন্মাবে?
    কেন অহেতুক সব প্রশ্ন বান!
    তার চেয়ে বরং ষোল কলা তৃপ্তির জন্য
    মেয়েটা এক খান পিলের পাতা চাই~~
    কত সহস্র বছর আগে পৃথিবীর পায়ের তলায়
    এসব অত্যাধুনিক প্রতিষেধক-প্রতিরোধক
    নর্দমার শ্যাওলা তাড়ানোর জন্য ছিল না…
    যা ছিল তা ছিল না বলাই ভালো!
    সম্পর্ক ছিল…
    “ভালোবাসা” শব্দে পবিত্রতা ছিল
    এখন যা আছে তা হয়তো আগামীতেও থাকবে!
    পুতুল খেলা আছে
    খেলা শেষে পুতুল ছুঁড়ে ফেলার রীতি-রেওয়াজ আছে
    মেয়েটি কি পূর্বের জনমে ফিরে যাবে?
  15. শুরুটা নরম কোমল জাম্বুরার ফাঁপা অংশের মত ছিল
    এক সাগর চিংড়ি মাছে লম্ফঝম্ফ দেখবার মত
    শুকনো কাঠে চিঁড়ে ভেজে না
    আবার ভেজা চিঁড়ায় স্বাদ মেলে না
    মেয়েটি কোন পথ বেঁচে নেবে?
    জীবনের অন্তিম মুহুর্তে কাক ও কোকিল বন্ধু
    জীবনের অন্তিম মুহুর্তে জন্ম ও মৃত্যু বন্ধু
    লোভ ও প্রাপ্তি নিবিড় মায়ায় আচ্ছন্ন বন্ধু
    তেজপাতার দেহে মাটি বাসা দিয়েছিল
    পুঞ্জিভূত স্বপ্নরা কবিতা লিখেছিল
    মেয়েটির চোখে তখনো জল ছিল
    জলে বিষ ছিল
    “পান কর নর পিশাচ”
    তোর নারাঙ্গ নিশ্চিত খসে যাবে বিষের নীলে…
    (সংক্ষেপিত…)

শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১১

ভালবাসা তবু নীরবেই কেঁদে যাবে

ভালবাসা তবু নীরবেই কেঁদে যাবে...

নীরবেই আসা-যাওয়া নীরবতায়,
পিছনেই পরে রই পশ্চাৎ সমরে !
ব্যথিতের ব্যথা কাঁদে বেদনায় ;
পাষাণের বুক কাঁপে অথরে ।

কলম সরব কলমের কাজে,
কতদিন পর কত কথা বলা !
নীরব কান্নার অশ্রু ঝরে নির্ঝর
একদিন সাঙ্গ হবে এ পথ চলা !!

ভালবাসা তবু নীরবেই কেঁদে যাবে
ভালবাসার পৃথিবীতে রবে হাহাকার !
মিথ্যের আবরণে সত্যের মৃত্যু হলে
সত্যরে বিশ্বাস করা মেলা ভার !!

আবেগ ঘন আজ আবেগের বশে,
এতদিন পর নিস্পাপ মুখখানি দেখা !
সবাই আছে সবার আবেগের মাঝে
পিছনে ক্লান্তপথিক পরে রয় একা !!

প্রিয়ন্তী ....

প্রিয়ন্তী


কত কথা বলার ছিল
হাজার কথার ভীড়ে ।
না বলা সেই কথাগুলো
গুমরে কেঁদে মরে !

পাষাণ বুকে পাথর বেঁধে
চাপা দিয়েছি ভাষা ।
দূর হতে উজার করে
দিয়েছি ভালবাসা ।

কত কাছে ছিলাম আমি
তুমিই ছিলে দূরে ।
দেখনি তাই চোখের কোণে
আমি ছিলাম জুড়ে !

কপোল চুমে নীরবে তাই
হারিয়ে গেছি শেষে ।
স্মৃতি পাতায় ঠাঁই নিয়েছি
শেষ জীবনে এসে !

এখন আমায় মনে করো
তোমার অবসরে ।
এটাইবা কম কিসে
নষ্ট প্রেমের ভীড়ে !

যায় কি ভুলা তোমাকে
বলো প্রিয়ন্তী ?
অনুভবে পেলে তোমায়
আজও পাই মনে প্রশান্তি ।

উৎসর্গ: কোন এক *প্রিয়ন্তী*কে !!!

শুভ জন্মদিন

শুভ জন্মদিন

শুভ জন্মদিন তোমার।
দু’চোখ খুলে চেয়ে দেখো
আসছি আমি,গাইছি গান…
তোমার জন্মদিনে।
নীল আকাশের সব নীল
লাল গোলাপের সব লাল ;
বেলী ফুলের শুভ্র সাদা
রংধনু’র রঙের ছটা।
চারিদিকে শান্তির গান
পাবে তুমি দীর্ঘ-জীবন।
এই দিনের আমার জমিনের
সব ফুল, সব ফল ;
দিলাম তোমায়, সব-ই দিলাম
দুঃখ ছাড়া, কষ্ট ছাড়া, লক্ষ-কোটি গান..।।।

কষ্টের কত রং

কষ্টের কত রং

e871e5801cf89a0ae334f56507de2168 নিঃসঙ্গতা
কষ্টের রং নীল হয়,
শোনেছি হরেক রং হতে পারে কখনো !
রঙধনুর রঙ উদ্ভ্রান্ত ঘোরাঘুরি করে তাই-
দুঃখের জলকণায় প্রিজমের মত ।

কখনো নীল, কখনো লাল, কখনো কালো কিংবা ধলো-
সাত রঙ যেন হাজার রঙের পশরা সাজায় !
আমি একা সেই রঙ সর্বাঙ্গে মাখি-ধারণ করি যত পারি,
এইত আমি, এর মাঝেই আমার বসত,
আমার নিয়তি বাঁধা !

শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১১

রক্তে ভেজা শাড়ি !!!


রক্তে ভেজা শাড়ি !

কতদিন মাকে দেখি না। ভার্সিটির হলে বসে একা একা ভাবতে থাকে সজীব। পরীক্ষার চাপ থাকায় গত ঈদেও বাড়িতে যাওয়া হয়নি। আজই পরীক্ষা শেষ হল। কাল বাড়ি যাবে সে তাই আজ অনেক খুশী, তার মায়ের মমতা মাখা মুখটি যেন তাকে ডাকছে। অনেক দিন পর মায়ের হাতে রান্না করা খাবার খাবে। হলের পচা বাসি খাবার খেতে মুখে অরুচি এসে গেছে। আজ টিউশনি থেকে টাকা পাওয়ার কথা। টাকা পেলেই সে মায়ের জন্য একটি শাড়ি কিনবে ঠিক করল।
○•○
সজীব ঢাকা ভার্সিটির রসায়নের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। হলে থাকে, তার মা রহিমা বেগম গ্রামে থাকেন।

সজীবের বাবা কবির সাহেব একটু প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকরী করতেন। তিনি ছিলেন অনেক পরিশ্রমী ও সৎ। আজগর সাহেব উনার নতুন বস। আগের বস চলে যাওয়ার পর আজগর সাহেবকে উনার ডিপার্টমেন্টে নতুন একজন বস নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি আসার পর থেকেই সব ব্যপারে কবির সাহেবের ভুল ধরতে থাকেন। কোম্পানীর এম ডি র কাছে উনার ব্যপারে আজে বাজে কথা বলতে থাকেন। এম ডি কে বলেন কবির সাহেবকে বের করে দিয়ে উনার পরিচিত একজনকে তার জায়গায় বসাতে। যিনি নাকি কবির সাহেবের চেয়েও অনেক দক্ষ। তারপর আজগর সাহেবের কথামত করিম সাহেবকে বের করে দিয়ে সেখানে উনার পরিচিত একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
ঐদিন রাতে বাসায় উনার স্ত্রী রহিমা বেগমকে বলেন শরীরটা ভাল লাগছে না। কিন্তু চাকরি চলে যাওয়ার কথাটি বলেননি। তারপর তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যান কিন্তু উনার ঐ ঘুম আর ভাঙেনি, ঘুমের ভিতর স্ট্রোক করে তিনি মারা যান। তখন সজীবের বয়স ৫।

○•○
সজীবের বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে সংসারের হাল তার মা একা ধরে আছেন। তার মা প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষিকা।
সজীবের বাবা বেচে থাকার সময় তার মাকে কোন চাকরি করতে দেননি। সজীবকে দেখাশুনা করাই ছিল তার একমাত্র চাকরি। সজীবের বাবা চাননি সজীব কখনো বাবা মা ছেড়ে একা থাকুক। সজীবের বাবা মারা যাওয়ার পর রহিমা বেগম সজীবের দিকে তাকিয়ে আর বিয়ে করেননি। উনার বাবা মা বিয়ের চাপ দিতেন দেখে তিনি তার বাবার বাড়ি যাওয়া বন্ধ করে দেন। লেখাপড়া জানা থাকার কারণে গ্রামের স্কুলে একটি চাকরি পেয়ে যান।

তিনি অনেক কষ্টে সজীবকে লেখাপড়া করান। সজীবও তার মায়ের কষ্ট বুঝত তাই সে কখনো অন্যায় আবদার করত না, মন দিয়ে লেখাপড়া করে যেত। পরীক্ষার আগে অনেক রাত জেগে পড়ত, যতক্ষণ পড়ত ততক্ষণ তার মা পাশে বসে থাকত। অনেক পড়ালেখা করে সে এস এস সিতে এ+ পায়। কিন্তু এইচ এস সি তে অল্পের জন্য এ+ মিস হয়।
তার মায়ের ইচ্ছা ছিল তাকে ডাক্তারি পড়ানোর কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় সে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। তারপর ঢাকা ভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে রসায়নের ভর্তি হয়।

ঢাকায় এসে সে তার এক আত্মীয়ের বাসায় উঠে এবং ভার্সিটির হলে সীট নেওয়ার জন্য চেষ্টা করতে থাকে। কিছুদিন পর ভার্সিটির হলে একটি সীট পেয়ে সেখানে উঠে পরে এবং ভার্সিটির এক বড় ভাইয়ের সহায়তায় দুটি টিউশনিও জোগাড় করে ফেলে।
সে প্রতিদিনই তার মায়ের সাথে কথা বলে। তার মায়ের কাছে মোবাইল নেই, তাদের প্রতিবেশীর কাছে ফোন দিলে তারা তার মায়ের কাছে মোবাইল নিয়ে গেলে তারপর কথা বলতে পারে। সে তার মাকে জানায় সে দুটি টিউশনি পেয়েছে কিন্তু তার মা রাজি নয়। পরে তার যেন পড়াশুনার কোন ক্ষতি না হয় সেই মর্মে তিনি রাজি হন।
টিউশনির প্রথম মাসের টাকা পেয়েই সে তার মায়ের জন্য, একটি মোবাইল ও একটি শাড়ি কিনে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

○•○
ঘড়িতে তিনটা বাজে, সে টিউশনিতে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে হল থেকে বেড়িয়ে গেল। হল থেকে বেড়িয়েই সে জানতে পারল আগামীকাল হরতাল। বিরোধী দলের মিছিলে পুলিশ হামলা করার প্রতিবাদে হরতাল ডেকেছে প্রধান বিরোধী দল। শুনেই তার মনটা খারাপ হয়ে গেল। তাহলে আজ রাতেই বাড়ি যাবে বলে ঠিক করল। সে তার মাকে ফোন করল।
-মা আমার পরীক্ষা শেষ, আজ রাতেই বাড়ি আসছি।
-কাল হরতাল, আজ আসিস না রাস্তায় যদি কিছু হয়ে যায়। হরতালের পর আয়।
-না মা, আমি আজই আসব।
-তাহলে সাবধানে আসিস বাপ আমার।

শাড়ি কিনে ফেরার পথে সে হরতাল সমর্থনকারীদের মিছিলের ভিতর ঢুকে পড়ে। হঠাৎ শুরু হয় গোলাগোলী সবাই ছুটছে। মিছিল লক্ষ্য করে কারা যেন গুলী ছুড়ছে। সে কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা।
হঠাৎ একটি গুলি এসে তার হৃদপিণ্ড ভেদ করে বেড়িয়ে যায়। তার মুখ থেকে শুধু একটি ধ্বনী শুনা যায় “মা”। মা বলার সাথে সাথে সে পরে যায় রাস্তায়। লাল রক্তে রঙিন হয়ে উঠে কালো রাজপথ। তার রক্তে ভিজে যায় মায়ের জন্য কেনা শাড়ি। শাড়ির বাহারি রঙের আলপনার মাঝে নতুন একটি রঙ যুক্ত হয়ে আলপনাটিকে আরো ফুটিয়ে তুলে।

সজীব তার কথা রাখে, ঐ দিন রাতেই সে তার মায়ের কাছে যায় তবে লাশ হয়ে। সে তার মাকে উপহার দেয় তার বুকের রক্তে ভেজা শাড়ি। এ দেশের ঘৃণ্য রাজনৈতিক সংঘর্ষ তাকে তার মায়ের কাছে জীবিত ফিরতে দেয়নি।
পরদিন পত্রিকায় প্রথম পাতা প্রকাশিত হয় দুই রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র নিহত।
গল্পটি এখানেই শেষ নয়, তারপর শুরু হয় সজীবের লাশ নিয়ে দুটি দলের মাঝে সৃষ্টি হওয়া ঘৃণ্য দলীয়করণ রাজনীতির গল্প, শুরু হয় সন্তান হারা এক মায়ের গল্প, শুরু হয় একটি স্বপ্নের মৃত্যুর গল্প।

অপেক্ষা...


অপেক্ষা...

Wait
আর কতকাল পরে
আমি তোমায় কাছে পাবো
আর কতকাল পরে
বল মেঘের বাড়ি যাব।
আর কতকাল পরে এসে
বলবে কথা একটু হেসে
পাব কি তোমায় আমি
এই জীবনের বেলা শেষে।
আর কতকাল ভাসব আমি
তীর হারা এক খেয়ার মাঝে
আর কতকাল খুঁজব তোমায়
নীড় হারা এক পাখির সাজে।
আর কতকাল পরে ঘুষবে
তোমার আমার এই ব্যবধান
আর কতকাল পরে হবে
সব অপেক্ষার অবসান।
আর কতটি দিন কাটালে
আর কত রাত হারালে
তোমায় পাব বল
সব অভিমান ভুলে বন্ধু
এখন চোঁখটা একটু মেলো।

আমাকে আমার মত থাকতে দাও...

আমাকে আমার মতো থাকতে দাও
আমি নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছি
যেটা ছিলনা ছিলনা সেটা না পাওয়াই থাক
সব পেলে নষ্ট জীবন


তোমার এই দুনিয়ার ঝাপসা আলোয়
কিছু সন্ধ্যের গুড়ো হওয়া কাঁচের মতো
যদি উড়ে যেতে চাও তবে গা ভাসিয়ে দাও
দূরবীনে চোখ রাখবোনা
না না না না …


এই জাহাজ মাস্তুল ছারখার
তবু গল্প লিখছি বাঁচবার
আমি রাখতে চাই না আর তার
কোনো রাত দুপুরের আবদার
তাই চেষ্টা করছি বারবার
সাঁতরে পার খোঁজার


কখনো আকাশ বেয়ে চুপ করে
যদি নেমে আসে ভালবাসা খুব ভোরে


চোখ ভাঙ্গা ঘুমে তুমি খুঁজোনা আমায়
আশে পাশে আমি আর নেই


আমার জন্য আলো জ্বেলোনা কেউ
আমি মানুষের সমুদ্রে গুনেছি ঢেউ


এই স্টেশনের চত্বরে হারিয়ে গেছি
শেষ ট্রেনে ঘরে ফিরবো না না
না না ………..


তোমার রক্তে আছে স্বপ্ন যত
তারা ছুটছে রাত্রি দিন নিজের মতো
কখনো সময় পেলে একটু ভেবো
আঙ্গুলের ফাঁকে আমি কই ?



হিসেবের ভিড়ে আমি চাইনা ছুঁতে
যত শুকনো পেয়াজ-কলি ফ্রীজের শীতে
আমি ওবেলার ডালভাত ফুরিয়ে গেছি
গেলাসের জলে ভাসবো না না
না না না …..


এই জাহাজ মাস্তুল ছারখার
তবু গল্প লিখছি বাঁচবার
আমি রাখতে চাই না আর তার
কোনো রাত দুপুরের আবদার
তাই চেষ্টা করছি বারবার
সাঁতরে পাড় খোঁজার……

অনিন্দিতা কে লিখা চিঠি ...........

অনিন্দিতা,
তোমার কপালে সেদিন কোন টিপ ছিলনা। কালো টিপ আমার ভীষণ পছন্দ ছিল। অথচ তুমি কখনো কালো টিপ পড়তে না। কলঙ্কের দাগ নাকি কালো হয়, তাই তুমি সবসময় গাঢ় লাল টিপ পড়তে। কপালে লাল টিপ পড়লে সেটা আরো বেশী জ্বলজ্বল করতো। তোমাকে ভীষণ মানিয়ে যেত। মাঝে মাঝে আমাকে বলতে তোমার নাকি সিঁদুরের টিপ পড়তে খুব শখ হয়। আমি শুনে তোমাকে একটা ছোট্ট রূপোর কৌটো উপহার দিয়েছিলাম, সিঁদুর রাখবে বলে। সেটা টাঙ্গাইলের কোন এক জমিদার বাড়ীর পুরোনো স্মৃতি। নওরোজ আমাকে দিয়েছিল। নওরোজকে তুমি চিনতে। একসময় আমার অফিসেই চাকরী করতো। মগবাজারের বাসায় প্রায়ই আসতো। পরে অন্য অফিসে চাকরী নেয়। জমিদার পরিবারের কেউ একজন সম্পর্কে ওর নানী হতো। সেই নানীই ওকে রূপোর কৌটটা দিয়েছিল। কেন জানিনা একদিন সেটা আমার হাতে দিয়ে বললো, “স্যার এটা আপনাকে দিলাম। আমার নানীর স্মৃতি। যেখানে যে অবস্থায় আছি এটা হারিয়ে যেতে পারে। তাই আপনাকেই দিয়ে দিলাম”। নওরোজ প্রসঙ্গ এখন থাক। টিপের কথাই বলি।
যা বলছিলাম- সিঁদুরের টিপ পড়ার ব্যাপারে তোমার মায়ের কড়া নিষেধ ছিল। কুমারী মেয়েদের নাকি কপালে সিঁদুরের টিপ পড়তে নেই, তাতে অমঙ্গল হয়। তোমার মায়ের এক কথা, মুসলমান মেয়েদের কখনো সিঁদুর পড়তে নেই। পুরাণকালে অজন্তা, ইলোরা, শকুন্তলা, মেনকা, দ্রৌপদী ওরা পুরুষদের মন ভোলাতে এমন সব বসন-ভূষণ পড়তো, কপালে টিপ দিত। আমাদের রক্ষণশীল সমাজে ওসব চলেনা। লোকে আড়ালে নানা কথা বলে, আড় চোখে তাকায়। তোমার মধ্যে এসব অবশ্য কুসংস্কারের বালাই ছিলনা। তুমি যথেষ্ট উদারমনা ছিলে। তুমি কখনো শাড়ী পড়লেই কপালে একটা টিপ পড়তে। লাল টিপ ছাড়া অন্য কোন টিপ খুব একটা চোখে পড়েনি। অন্য টিপ পড়ার ব্যাপারে তোমার মায়ের তেমন আপত্তি ছিলনা শুধু সিঁদুরের টিপ পড়ার ব্যাপারেই যত অমত। তাই রূপোর কৌটাটা কখনো কোন কাজে লাগেনি।
অনিন্দিতা, মনে আছে- একদিন বান্ধবীর বাসায় যাবার কথা বলে আমাদের বাসায় এসেছিলে। বেশ সুন্দর একটা শাড়ী পড়েছিলে। বাদামী জমিনের উপর সাদা সাদা বল প্রিন্ট। সাধারণ সূতী শাড়ী। সোজা আমার ঘরে এসে বললে, “দ্যাখোতো এই শাড়ীতে আমায় কেমন লাগছে? আমি বললাম, “অনিন্দ্য সুন্দরী”। মা তখন রান্না ঘরে। লক্ষ্য করলাম তোমার কপালে কোন টিপ নেই। শাড়ী পড়েছো অথচ কপালে টিপ পড়োনি দেখে অবাক হলাম। তোমার কাছে এগিয়ে গেলাম। আশে পাশে কেউ ছিলনা। সেই সুযোগে তোমার কপালে একটা চুমু এঁকে দিলাম। চুমু দিতেই তুমি একটু রাগত ভঙ্গিতে বললে- ছিঃ ছিঃ একি করলে তুমি! আমার কপালে যে কলঙ্ক লেপে দিলে! আমি অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম! বললাম- “স্যরি, তোমাকে এতোটাই ভাল লাগছিল যে লোভ সামলাতে পারলাম না। তোমার কপালে টিপ নেই দেখে ভাবলাম শূন্যস্থানটা পূরণ করে দিই। তোমার কপালের লাল টিপটা বরাবরই সিগন্যালের লালবাতি হয়ে আমাকে থামিয়ে দেয়। আজ আর কোন বাঁধা ছিলনা। নাহ্, কোন কলঙ্ক নয়- আমার শুভেচ্ছা ও ভালবাসা তোমার কপালে এঁকে দিলাম। দেখে নিও তুমি সৌভাগ্যবতী হবে”।
অনিন্দিতা, কতকাল পর সেদিন তোমার সাথে দেখা। তোমার অনেক গল্প আমি লোকের মুখে শুনেছি। আজ তোমার গাড়ী, বাড়ী, ঐশ্বর্য সবই আছে- আমারতো তেমন কিছু নেই। তোমার কপালে আজো সেই লাল টিপটা জ্বলজ্বল করছে। তোমার গালে কোন তিল ছিলনা, তবে নাকের ডগায় ছোট্ট একটা তিল ছিল। আমি অবাক হয়ে তোমাকে দেখতাম। বলতাম, তুমি স্বামী সোহাগী হবে। কী দারুন ভাগ্য তোমার! তুমি বলতে আমি হিংসুটে, ঈর্ষাপরায়ণ। সত্যিই কী তাই? একদিন তোমার ঐ কপালে ছোট্ট একটা চুমু এঁকে বলেছিলাম, “তুমি সৌভাগ্যবতী হও”। আজ তুমি সত্যিই ভাগ্যবতী। স্বামীর সংসারে রাজনন্দিনী হয়ে আছো। তোমার বিয়েতে যেতে পারিনি। কিছু দিতেও পারিনি। আমার সেই রূপোর কৌটাটা কী আছে? তাতে এক চিলতে সিঁদুর রেখে দিও- মনে করো সেটাই আমার আর্শীবাদ, আমার নির্মল ভালবাসা। তোমার জীবনের সকল অমঙ্গল ঐ রুপোর কৌটতে বন্দী থাক। ভাল থেকো তুমি। ইতি-
আনন্দ

আঁধার প্রেমী


আঁধার প্রেমী

আঁধার প্রেমী
হে অসহিষ্ণু আলো, তুমি আমার প্রিয়তম আঁধারকে এভাবে গ্রাস করোনা। আমার জীবনের ব্যর্থতা লুকাতে কিছুটা আঁধার থাকতেই হয়- তুমি সেই আঁধারটুকু কেড়ে নিওনা। রাত জেগে জেগে যখন আমি নিজের বিষণ্ন মুহূর্তগুলোকে একাকিত্বের সূতোয় বুনতে থাকি তখন মিত্রতা লাভের আশায় জোনাকীরা আলো জ্বেলে আমাকে খুঁজতে আসে। অথচ ওরা জানেনা আমি তখন স্বপনপুরে পক্ষ্মীরাজে চড়ে আমার হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নগুলো খুঁজছি। এদিকে রাতভর উঠোনে জমা হতে থাকে ঝরা বকুলের স্তূপ। নিজের বলতে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া একখানা টিনের চালা আর ছায়াসঙ্গী বলতে উঠোন জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বকুল গাছটা। আমার দাদীর হাতে লাগানো বকুলের চারাগাছটা আজ পরিণত বৃক্ষ। ফুল মৌসুমে গাছটি ফুলে ফুলে সাদা হয়ে থাকে। মনে মনে হয়তো সে’ও বৈধব্যের বেশে সাজতে চায়। ঝরা বকুলের কোন দাবীদার নেই। ভোর হতে না হতেই পাড়ার ছোট ছোট মেয়েরা বকুলগুলো কুড়িয়ে নিয়ে যায়। আমি বিছানায় শুয়ে শুয়ে সেই দৃশ্যটা উপভোগ করি। একটা ছোট্ট মেয়ে আমাকে প্রায়ই বকুলের মালা দিয়ে যায়। ওর দিদি নাকি সুন্দর মালা গাঁথতে জানে। ওর কথা শুনে আমি হাসি। সামান্য ফুলও মানুষের মাঝে নিবিড় বন্ধন রচনা করতে পারে।
বকুলের মালা আমার তেমন পছন্দ নয়। এর কোন ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই। যে মালা গাঁথে সেতো আমার দুয়ারে এসে কখনো দাঁড়ায়নি। দাদী নাকি দাদার জন্য বকুলের মালা গাঁথতো। পাশের বাড়ির হরিচরণ কাকা মারা যাবার পর দেয়ালে টাঙ্গানো তাঁর ছবিতে দীর্ঘকাল শুকিয়ে যাওয়া বকুলের মালা ঝুলতে দেখেছি। অথচ দাদার হাতে কখনো বকুলের মালা চোখে পড়েনি। দাদার বকুলপ্রীতির রহস্য আজো অজানা। হয়তো দাদীর প্রতি তার ভালবাসার প্রকাশটাই ছিল ওরকম। দিনের আলোয় তা নিতান্তই অস্পষ্ট।
আমার জোছনা ধোয়া রাতগুলোতে কেউ কখনো কামিনী বা হাসনাহেনার সুবাস ছড়ায়নি, আমার শ্রাবণ রাতের অবিরাম বর্ষণে কেউ কোথাও কদমফুল ফুটতে দেখেনি। আমার বসন্ত দিনগুলোতে কেউ ফুল খোঁপাতে সাজবে বলে বায়না ধরেনি। একবার বর্ষাকালে বাবা আমাকে পেখম তোলা ময়ুরের নাচ দেখাবে বলে চিড়িয়াখানায় বেড়াতে নিয়ে গেছিল। আমি বাবার হাত ধরে সেই প্রথম ময়ুরের নাচ দেখেছিলাম। মানুষের মন খুশীতে নাকি অমন করেই নাচে। আমার মন আজো ময়ুরী নাচের তৃষ্ণায় কাতর।
একে একে অনেক বসন্ত কেটে গেল। কেটে গেল শীত, গ্রীষ্ম বর্ষাও। শূন্য ভিটে আমি আজো আগলে বসে আছি। দিনের আলোয় আমি ভিটের আশেপাশে হারানো স্বজনের অস্তিত্ব খুঁজে পাই। আমার স্মৃতিপটে সবকিছুই পরিস্কার হয়ে আসে। এই ভিটে, এই টিনের চালা, এই বকুলগাছ- সবই যেন জ্বলজ্বলে স্মৃতির এক একটি অটল পাহাড়; আমার সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। একসময় সকাল গড়িয় দুপুর, তারপর সন্ধ্যা। অবশেষে আঁধার নামলেই সব অদৃশ্যমান। আমি তখন নিজের অজান্তেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি। আঁধারকে আপন ভেবে সবকিছু ভুলে থাকার চেষ্টা করি। অথচ সেই আঁধার কখনোই দীর্ঘস্থায়ী নয়। রাতের জানালা ধরে বেহায়া জোছনাটা কখনো উঁকি দেবার চেষ্টা করলে আমি এক ঝটকায় আবেগের পর্দাটা টেনে ধরি। ভাবনার বেড়াজাল টপকে অনুভূতির শিরশিরে বাতাস যখন হৃদপিন্ডের সবুজ প্রান্তর ছুঁয়ে যেতে চায় আমি তখন বেদনার দিগন্তে একরাশ দীর্ঘশ্বাস জমা করি। আমার চেতনার প্রাঙ্গন প্রায়শই নির্বোধ হাহাকারে গুমরে কাঁদে। আমি নিজের অস্তিত্বকে মিশিয়ে দিই গাঢ় অন্ধকারে। নিজেকে গুটিয়ে রাখি প্রদীপের ছায়ায়। প্রেয়সী রাত আমার নিঃসঙ্গতার দোসর হয়ে আমাকে বাঁচার স্বপ্ন দেখায়। আর ঠিক তখনি দূরে অস্থির পাখীরা ডানা ঝাপটায়, উঠোনজুড়ে বিরহকাতর বকুলেরা আত্মাহুতি দেয়, সঙ্গপ্রিয় সবুজ ঘাস নিবিড় আলিঙ্গনে শিশিরসিক্ত হয়, নিশাচর প্রাণীরা নিজেদের আস্তানা খুঁজে নেয়- দিগন্তবলয় ভেদ করে সূর্যদেবের উপস্থিতি। রাতের সকল নিস্তব্ধতা থেমে যায়। অসহিষ্ণু আলো এসে এভাবেই আমার অনন্তসঙ্গী রাত্রিকে প্রতিনিয়ত গ্রাস করে।

কি লিখি তোমায় ................


কি লিখি তোমায়

মেঘবতী,
তোমার বিরুদ্ধে অভিযোগ কিংবা অনুযোগ করবো এমন দুঃসাহস আমার নেই। কারণ অভিমানীদের কখনোই অভিমান করার সুযোগ দিতে নেই। আর সত্যি বলতে কি তোমার অত সুন্দর চিঠির তেমন কোন যুৎসই জবাব খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ক’দিন ধরেই ভাবছিলাম- “কি লিখি তোমায়”! জবাব দিতে কিছুটা বিলম্ব হলেও ভেবে নিওনা এতে আমার কোন অবহেলা কিংবা অবজ্ঞা ছিল। বরং ভেবে নিতে পারো এতোটা প্রজ্ঞা আমার নেই যা দিয়ে তোমার মূল্যায়ন করি। আমার মন-মোহনা জুড়ে প্রশান্তির যে ব-দ্বীপ তার কোল জুড়ে দারুচিনির ছায়া না থাকলেও রয়েছে পলি মাটির সোঁদা গন্ধ আর রয়েছে সবুজ ঘাসের গালিচা। যদি কখনো সেখানে এসে বসো তবে টের পাবে দখিনা বাতাসের হিন্দোল যা স্নিগ্ধ, শীতল পরশ বুলিয়ে দিয়ে যাবে আনমনে, অগোচরে। যাব্বাবা! আমি কি কাব্য করছি নাকি? আমি মোটেও কাব্য করছিনা। আমি কবি নই। আমি কবিতা বুঝিনা। তোমার ধারণাই ঠিক। তোমার চিঠি পড়ে আমার মনে যে ভাবনার সঞ্চার হলো তাই শুধু ব্যক্ত করছি।
তুমি আমার চিঠিতে কেনি জি’র ব্রেদলেস বেজে উঠতে দেখেছো- তুমি কী জানো সেই সুরের উৎস কোথায়? প্রিয়তমেষুর হৃদয়ে যে সুরের অনুরণন তা যে মেঘবতী’র কোমল হাতের ছোঁয়ায় সৃষ্ট এক একটি অক্ষর আর শব্দের মূচ্ছর্ণা। যা চিঠির পাতা থেকে কখন যেন গানের স্বরলিপি হয়ে নীরবেই বাজতে থাকে। আর সেটাই তোমার “সাউন্ড অব মিউজিক” এর “মাই ফ্যভোরিট থিংস” হয়ে মনে গুঞ্জরন সৃষ্টি করে। আমিও যে বহুবার সেই “সাউন্ড অব মিউজিক” দেখে তারুণ্যের উচ্ছাসে ভেসে গেছি। মেঘের ছায়ার সাথে বিস্তৃত সবুজ প্রান্তরে দৌড়ে গেছি। সেই মেঘগুলো দিগন্তে হারিয়ে গেলেও আমার মন-পাহাড়ে জমে থাকা ভালবাসার মেঘগুলোকে আমি ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখেছি। হয়তো মনে মনে কোন মেঘবতীকেই খুঁজেছি। বিদ্যুতের ঝলকানি কিংবা মেঘের গর্জনে ভীত হইনি বরং বৃষ্টিকে বরণ করেছি। ভেবেছি কোন এক মেঘবতী আকাশপাড়ে বন্দীনি, অঝোরে একা একা কাঁদছে।
যাহ্! কি আবোল তাবোল ভাবছি! মেঘবতী কাঁদবে কেন? সেতো শুধু হাসবে। মেঘে মেঘে সে রামধনুর মতো হাসির রঙ ছড়াবে। আর সেই রঙে আমি প্রকৃতির সবকিছু রঙিন দেখবো। আর সেই রঙ এখন সাদা- শুধুই সাদা। তুমিতো জানো সব রঙের মিশ্রণ হলো সাদা। সেই যে ছোটবেলায় পড়েছি “বেনীআসহকলা”। আমার চারিদিকে এখন সেই সাদার সমারোহ। চারিদিকে শুধু বরফ আর বরফ। সবকিছু এখন বরফে ঢেকে আছে। এখানে এখন শীতকাল। আমি জানি মেঘবতীর হয়তো শীতকাল তেমন পছন্দের নয়। আমারো নয়। কারণ আমি মেঘ হয়তো সামলাতে পারি- কিন্তু বরফ সামলাবো কি করে? বরফের দেশে মানুষ কাঁদতে জানেনা। তাদের চোখে কখনো অশ্রু ঝরেনা। তার কারণ কি জানো? মানুষের চোখের জল বের হবার আগেই তা জমে যায়। তাই এরা কাঁদতে জানেনা।
তুমি যদি কখনো আমাকে “বরফ হৃদয় পুরুষ” বলে সম্বোধন করো আমি অবাক হবো না। তবে এই বরফ মানবেরা কান্না চোখে না ধরলেও তা হৃদয়ে জমিয়ে রাখে। তাই সহজে কারো চোখে পড়েনা। তবে কারো হৃদয়ের উষ্ণতা পেলে সেই বরফ হৃদয় যে গলবেনা তার নিশ্চয়তা কে দেবে? কোন এক শ্রাবণসন্ধ্যায় যদি মেঘবতীর চোখে জল আসে তবে সেটাকে বৃষ্টির জল বলে ভ্রম হলেও তা যে হৃদয়ের কান্না তা কে বলে দেবে? বসন্তের দিন এলে যেমন মেঘবতী শ্রাবণসন্ধ্যার অঝোর বৃষ্টিকে ভুলে যায় তেমনি প্রিয়তমেষু এক সোনালী গ্রীষ্মের প্রতীক্ষায় আছে যেদিন তার চারিদিকের সব বরফ গলে যাবে। কারো অশ্রুসজল চোখের দিকে তাকিয়ে তার চোখ দিয়েও জল গড়াবে। সেদিন বরফের সব দেয়াল ভেঙ্গে যাবে। বৃষ্টির জলের সাথে বরফ গলা জল মিশে একাকার হয়ে যাবে। আর সেই মিলিত শীতল জলস্রোতে ভাসিয়ে দেবো ভালবাসার নৌকা- হয়তোবা চিঠির কাগজে তৈরী নৌকা। যে নৌকা ভাসাতে গভীর জলের কোন প্রয়োজন নেই- কোন মাঝি-মাল্লার প্রয়োজন নেই, কোন নির্দ্দিষ্ট বন্দরের ঠিকানা জানারও প্রয়োজন নেই। যা প্রয়োজন- তা হলো দুটি মন, একটু ভালবাসা, একটু বিশ্বাস আর হৃদয়ের একটু গভীরতা।
অভিমানী মেঘবতীর জন্য আজ এটুকুই রইলো। আর রইলো তোমার চিঠির জন্য আমার একরাশ প্রতীক্ষা। ভাল থাকার প্রার্থনা রইলো। ইতি-

ভালবাসার পাঁপড় ....


ভালবাসার পাঁপড়

ভালবাসার পাঁপড়
ভালবাসার পাঁপড় তুমি
প্রেমের তেলে সদ্য ভাজা,
মন বয়ামে আটকে রাখি
সদাই তুমি টাটকা তাজা।

মচমচে ভাব হয়না বিস্বাদ
বিট লবণে মাখানো হাসি,
গোলাপ ঠোঁটে একটু ঝাল
তাইতো এতো ভালবাসি।

ফুচকা গালে চটপটি ভাব
আবেগমাখা তেঁতুল জলে,
কি স্বাদে যে ডুবলো এ মন
তোমার কথাই শুধু বলে।

পপকর্ণ এই হৃদয় আমার
তোমার প্রেমের উষ্ণ আঁচে,
ফুটছে ফুটুক নিজের মতো
তোমায় পেয়েই যদি বাঁচে।

আজকের বৃষ্টি...


আজকের বৃষ্টি...









মন খারাপ করা বিকেল মানেই...

মন খারাপ করা গান………..আমার কাছে ভাল লেগেছে
অন্যভাবে উপস্থাপন করলাম । আশাকরি ভাল লাগবে সবার
====================================================
মন খারাপ করা বিকেল মানেই
মেঘ করেছে
দূরে কোথাও দু-এক পশলা
বৃষ্টি হচ্ছে।
ঘর আবছায়া আর ভিজে ভিজে
হাওয়ায় মাখা
মাথার ওপর মিছিমিছি
ঘুরছে পাখা।
সরগরম কিন্তু বাইরে রাস্তা
পানের দোকান
http://i.imgur.com/I6vyM.jpg
রেডিওতে হঠাৎ একটা
পুরনো গান।
শান্ত নদীটি পটে আঁকা
তার সুরটা চেনাচেনা বলেই
ছোঁয়াচ লাগে
কলকাতাতে সন্ধে হবার
একটু আগে।
মন খারাপ করা বিকেল মানেই
মেঘ করেছে
দূরে কোথাও দু-এক পশলা
বৃষ্টি হচ্ছে।

বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১১

শিশির কন্যা


শিশির কন্যা

ps869439
পরীর মত সাজতে তুমি
পূর্নিমার মত হাসতে
মৌরীর মত চুমিতাম আমি
জ্বরোত্ত্বাপে কাঁপতে ।
কুকিলের মত ডাকতে গানের সুরে
জানিনা কেন
কাছে গেলে বাগতে দূর সুদূরে
সুব্রত হয়ে ফুটতে রাতে
শিউলী হয়ে ঝরে পড়তে
দুষ্টমিতে টল মল মিষ্টি রোদ্দুর
শিশির ঢাকা ঘাষ ফুল
সমূহ উল্লাসে দুলে উঠতো আমার আমূল প্রেম।

ছয় টি প্রহর


ছয় টি প্রহর

183112_1587529332516_1364303787_31264158_3483151_n
এক)
রাত বিরাতে ঘুম ভাঙ্গে
রাত বিরাতে জ্বর আসে অঙ্গে
স্যাত স্যাতে চোখ, বিক্ষিপ্ত স্বপন
তৃষ্ণা লাগে-লাগে ভূখ,ভীষন গোপন।

(দুই)
ঘামার্ত দেহ
জামা কাপড় ছেড়ে অন্ধকারে থাক
দেখেনি কেহ ;

(তিন)
এক ঝাঁক তারার মেলায় এক খন্ড চাঁদ
দ্বিধা দ্বন্দের দো’টানায় আটকা পড়ি
জ্বলে পুড়ে খাঁক হওয়া বাসনা
তলে তলে তুমি এত্তো! বুযতে পারিনি ফাঁদ;

(চার)
ঘুট ঘুটে অন্ধকার চিলে কৌঠায়
ঈষৎ নয়ন তুলে খুঁজো কি
ফুটফুটে গোলাপী ঠোঁট দু’টো
ততক্ষনে বুকের উপত্যকায় ঠায় খুজে পায়।

(পাঁচ)
উত্তপ্ত সুমুদ্র জল তান্ডব
নোনতা স্বাদের মাছ গুলো বিক্ষিপ্ত হয়তো
বিলুপ্ত এক খানি দ্বীপ
আবার জেগে উঠার স্বপ্ন দেখে প্রতি নিয়ত।

(ছয়)
চোখ মুদেধ্যান মগ্ন হই
একাগ্র চিত্ত্বে রপ্তকরি তোমার প্রেমযোগ
মুগদ্ব বিমুগদ্ব স্বপ্ন আরাধনা
যতোই দগ্ধ হই;যৌবনও তো চায় ভোগ।

ভালবাসি (খুঁজছি)


ভালবাসি (খুঁজছি )

পৃথিবীতে আসার আগে
অন্যন সুন্দর এক মূহূর্তে-
সাক্ষাত হয়েছিল;
আমার প্রিয়তমার সাথে।

অনেক ভালবাসা জরানো কন্ঠে বলেছিলাম-
আমার মমতা আর ভালবাসা
সাথে আমার শ্রেষ্ঠ সুখ; রেখ কিন্তু বুকে আগলে,
তোমার বুকের উষ্ণতার মাঝে।

ভূল করে হলেও দিওনা যেন কাউকে
এমনকি-
কেউ হাতও যেন না দেয় তাতে।

পৃথিবীতে আসলাম আজ অনেক দিন হল।
আমি রীতিমত যুবক হয়ে প্রিয়তমাকে খুঁজছি।
কিন্তু-
কি অদ্ভুত! কোথাও নেই সে।
চাপা অস্থিরতায়-
এই মেয়ে ওই মেয়ের দিকে চেয়ে থাকি।

একটা কষ্ট; হারিয়ে ফেলার বেদনা-
শুধু আহবান করে আমায়
তার সাগরে ঝাপ দিতে।
আমার সাহস হয়না।

ভালবাসাটা আমার আমিতে ছড়িয়ে থাকায়
একটা বিশ্বাস বাসা বেধে বড় হতে থাকে-
আমার বিশ্বাস; নিশ্চয় তাকে খুঁজে পাব আমি একদিন।