[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

শুক্রবার, ৩১ আগস্ট, ২০১২

তুমি অমানুষ..


তুমি অমানুষ

 আবার এসো,
 আমাকে জ্বালাতে
 

আবার এসো,
 আমাকে কাঁদাতে


আবার এসো,
 আমাকে কষ্ট দিতে


আবার এসো,
 আমাকে একা রেখে যেতে


আবার এসো,
 মন ভেঙ্গে দিতে


আবার এসো,
 স্বপ্ন গুলো মুছে দিতে


কারন যে তোমাকে ভালবাসে
 সেই সব অসহায় - বঞ্ছিত মানুষের জীবন আর
 হৃদয় নিয়ে খেলাতেই তোমার আনন্দ।
 তুমি নিষ্ঠুর, তুমি প্রতারক, তুমি অমানুষ।
 তুমি মা-বাবার যত্নে - আদরে গড়া কু -সন্তান।
 তুমি সুস্থ সমাজ আর সুস্থ জীবন নিয়ে চলার অযোগ্য।
 তোমাকে নিয়ে গর্ব করার এ জগত সংসারে কেউ নেই।
 ধিক তোমায় ধিক। তোমার জন্ম বৃথা - কর্ম বৃথা।

বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১২

আঙ্গুল জানে ভাঁজের নিয়ম


আঙ্গুল জানে ভাঁজের নিয়ম

জানালার পর্দাতে অন্ধকার দুলে ওঠে
ল্যাম্পপোস্টের আলোয় জোনাকীর আনাগোনা;
বিছানারা ডাক দেয় আয় আয়
তারপর; শুধু লেনাদেনা।


রাত্রির গায়ে আরেকটু গাঢ়তা আঁকে মেঘ
আমার আঙ্গুল জানে ভাঁজের নিয়ম
তোমার লুলিত নদী দিলে ইশারা
ধ্যান ভাঙ্গে তার জলের রসম।


তুমিই প্রাণের কুটুম ভাঁজের কসম!

razz 3


তোমার অণুচক্রিকায় আমার অণুচক্রিকা



তোমার অণুচক্রিকায় আমার অণুচক্রিকা

কখনো আমি কখনো বা তুমি
এক হয়ে মিশে যাই অলৌকিক সহবাসে।



তোমার সর্বাঙ্গে বহমান হয়ে,
প্রতিটি নিঃশ্বাসে এঁকে দেই কালের চিহ্ন
সূর্যাস্তের বিনীত প্রস্থানে।

তোমার অণুচক্রিকায় আমার অণুচক্রিকা,
তোমার লোহিত কণায় আমার লোহিত কণা
মিশে একাকার হলে, তোমাকে ভেঙ্গে গড়ি
আগামি সুখদ।

তুমি সলজ্জ্ব চোখে আরো বেশি ছুঁয়ে দিলে
দেখি ভোরের শিশির চেয়ে অপলক
বিনম্র লাজে করে মাখামাখি সবুজ পত্রে;
পল্লবে
এভাবে প্রেমের প্রতিমা গড়ি
কি দ্বিধায় লাজে; আমাদের অলৌকিক সহবাসে।

তুমি থাকবে চিরদিন ...


তুমি থাকবে চিরদিন

দিগন্ত বিস্তৃত সবুজের সমারোহ
রাশি রাশি সোনালী ফসলের মাঠ
প্রকৃতির এই স্বপ্নিল রূপ,
মনে করিয়ে দেয় তোমাকে।


গাছে গাছে পাখির আনাগোনা
পাখির কলতানে মুখরিত চারিপাশ
প্রকৃতির এই মন মাতানো সুর,
মনে করিয়ে দেয় তোমাকে।


আকাশ জুড়ে মেঘের ঘনঘটা
হঠাৎ ঝরে পরা বারিধারা
শান্তির পরশ বুলিয়ে দিয়ে যায়,
আর মনে করিয়ে দিয়ে যায় তোমাকে।


পৃথিবীতে থাকবে যতদিন
প্রকৃতির এই স্বপ্নিল রূপ, মন মাতানো সুর,

আর শান্তির পরশ বুলানো বারিধারা
ততদিন তুমি থাকবে আমার হৃদয়ের গহীনে,
তুমি ছিলে, তুমি আছো, তুমি থাকবে চিরদিন।

বুধবার, ২৯ আগস্ট, ২০১২

তোমার ছোঁয়ায় ঘুম-পরী


তোমার ছোঁয়ায় ঘুম-পরী



আজকাল কেমন জানি হয়ে যাচ্ছি
বোধ বুদ্ধিগুলো ঠিকমত কাজ করে না সবসময়
কেমন এক ঘোর পাওয়া মানুষের মত দিন কাটাচ্ছি
কেন তা নিজেও জানি না।


আজকাল আর কিছুই ভালো লাগে না আমার
অস্থির এক সময়ের কারাগারে বন্দী হয়ে করে যাচ্ছি বসবাস
কোথা দিয়ে দিন আসে কোথা দিয়ে কেটে যায় রাত
নিজেই তা বুঝতে পারি না।


ঘুম পরী এখন আর আমার চোখে এসে বসে না
একটি, দুটি, তিনটি, মাঝে মাঝে লিমিট ক্রস করে পাঁচটি ঘুমের বড়ি
খেয়ে যাচ্ছি রাতের পর রাত, ঘুম নামক সোনার হরিণের ছোঁয়া পেতে
হায়, সে যে কেন আমার কাছে ধরা দেয় না বুঝতে পারি না।


সকাল বেলা অসম্ভব ক্লান্তিতে বিছানা ছাড়ি মাঝে মাঝে
ঘুমের বড়ির নেশায় নেশাচ্ছন্ন হয়ে, সব কিছু কেমন যেন ধোঁয়া ধোঁয়া লাগে
তবুও উঠতে হয় মাঝে মাঝে, অফিসের খাতিরে; জীবন তো কাটাতে হবে,
পেটে ভাত যোগাতে, সংসার চালাতে; আমায় খাদ্য দেবে কে?

মাঝে মাঝে আর পারি না, যখন ঘুমের বড়িগুলো অবশ করে আনে
আমার চেতনাকে, স্বপ্ন-হীন এক নীদের দেশে পাঠিয়ে দিয়ে
ঔষধগুলোরও তো একটা নিজস্ব শক্তি আছে! যা আমার মধ্যে নেই
তোমাকে হারানোর পরে, তুমি অন্যদেশে পাড়ি জমানোর পর থেকে।



তবে কি আমার বাকি জীবনটা এভাবেই কাটিয়ে দেব?
দুজনার দুই ভুবনে বাস, শুধু কোন একদিন তোমাকে পাওয়ার অভিলাষ
যখন তোমার হয় দিন তখন আমার হয় রাত
কিংবা আমার যখন দিন তোমার তখন রাত।


আচ্ছা ঘুম-পরীরা কি আবার আমার চোখে নেমে আসবে কোনদিন?
রঙিন সব স্বপ্নগুলোকে সাথী করে, আমায় নীদের দেশে নিয়ে যাবে;
যখন তুমি পাশে এসে বসে আমার মাথায় হাত রাখবে
আমার চোখের পাতায় আঙ্গুল ছুঁয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেবে
আমার বড্ড জানতে ইচ্ছে করে।


ghoom

Amar Din katena Amar Raat katena - Subhamita



Vese ase sur udashi raat e,
smriti dolay alo chhaya te....
Ratri nijhum, ase nato ghum,
aj o tumi elena,,
nirashay din jaay, raat jaay,
durashay jaay chole somoy,
boye jaay fagun e ei raat boye jaay...
 amar din katena,
amar raat katena,
 sono sono sujan amar.....


must welcome 2012



Phool Koli (Awara) (2012) (Bengali)



Valobashi - RAZ


Dao Haat Bariye - Ariful & hridoy khan



Hate Story 2012 arc



Road to Success, Bangla Movie 2012



Chokher Poloke -Rizvi Wahid & Subhamita




আমার ঠিকানা

 

আমার ঠিকানা


 
আমি পিপীলিকার মাঝে থাকি উল্লাসে
পথহারা পথিকের সাথে কাঁদি নীরবে
আমার ঠিকানা পাও নি?
দাউদাউ চিতায় জ্বলে যে বিরহ
খুঁজে দেখ সেখানে ধূসর ছাই--
আমার ঠিকানা শুরু এখানে...
চিহ্নটা দেখা যাবে নীলিমার আঁচলে
দ্রোণের কোমল আঘাতে ক্ষত শুভ্র পা
আমার ঠিকানা প্রলেপ তবে--
‘ওহ্‌’ শব্দ হলে আমি কান্নাসাগর
নীলিমার কবরের পাশে হতে পারে ঠাঁই--
আমার ঠিকানার সীমান্ত এখানে...

রাত নিঃসঙ্গ বিরাতে ..

 

রাত নিঃসঙ্গ বিরাতে ...


 
রাত বারটা, দিনের ক্লান্তি কেবল গ্রাস করতে শুরু করেছে পুরো শহরটাকে। ঘর থেকে বেড়িয়ে, নিঃসঙ্গ পথচলা উদ্দেশ্যহীন কিছু মানুষের মাঝে নিজেকে খুঁজে ফেরা। রাতের নীরবতা, ভেঙ্গে যায় মাঝে অর্থহীন মানুষের হাক ডাক মৃদুকলরবে বুঝি দিনের প্রান ফিরল বলে। অস্তমিত পঞ্চমীর চাঁদ, সুকান্তের কবিতা আধ পেটা মানুষের তৃপ্তির ঘুম স্বাভাবিক নিয়মে খোলা আকাশের তলে। অপক্ক দেহ, কামে চিত্ত মন জীবন আর যৌবনের মৌলিক সংযোগ ওহে পুরুষ স্বর্গ আজ বারবনিতার হাতে। টহল পুলিশ, নৈশ প্রহরী রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা জীর্ণ শীর্ণ কুকুর সদা ব্যস্ত সব দিনের মত জীবনের নিয়মে। চায়ের কাপ, খোলা আকাশের ফাকে নব উদ্যম খুঁজে কেও রাত্রি অবকাশে রাত জাগা পাখি হয়ে স্বপ্ন উল্লাসে। আজ আমি, এই নিশুতি রাতে অলি গলি বড় রাস্তা পেরিয়ে মন পবনের টানে আজো আমি বড় একা কেও নেই সাথে।

আজ জন্মদিন তোমার



আজকের আকাশে অনেক তারা, দিন ছিল সূর্যে ভরা,
আজকের জ্যোসনাটা আরো সুন্দর, সন্ধাটা আগুন লাগা
 আজকের পৃথিবী তোমার জন্য ভোরে থাকা ভালো লাগা
 মুখরিত হবে দিন গানে গানে আগামীর সম্ভাবনা
 তুমি এই দিনে পৃথিবীতে এসেছ , সুভেচ্চা তোমায়
 তাই অনাগত ক্ষণ হোক আরো সুন্দর উচ্ছল দিন কামনায়
 আজ জন্মদিন তোমার
 তোমার জন্য এই রোদেলা স্বপ্ন সকাল
 তোমার জন্য হাসে অললন স্নিগ্ধ বিকেল
 ভালবাসা নিয়ে নিজে তুমি, ভালোবাসো সব সৃষ্টিকে
 তোমার জন্য ফোটা পৃথিবীর সব গোলাপ
 তোমার জন্য এই কবিতা নয় সে গোলাপ
 আলোকিত হয়ে নিজে তুমি, আলোকিত কর পৃথিবীকে

অবুঝ

 

অবুঝ




বদ অভ্যাস আজও দেখি
অর্থ যদি জোটে,
লাভ কি হবে কেউ জানি না ?
নাচছে দেখি সবে।

মিথ্যাবাদী রাগ করিনি
তর্কে দশেমুখে, অর্থ যদি জোটে,
হেসে খেলে বছর ভরে
মিথ্যে, পাজি, মুখপোড়া সবাই মিলে বলে।

আশায় আশায় সব কাজেতে
"যদি" র আশায় বসে,
চুল চিরে সব উল্টে যাবে
বয়স ভাটার স্রোতে।

কথায় কথায় মারব ঘুষি
এখন লাইনে,
সময় এলে শান্ত হবে
সহজ কথায় বলে।

মঙ্গলবার, ২৮ আগস্ট, ২০১২

ওবুঝ ভালবাসা...


তুমি আমার না বলা কিছু কথা,
         তুমি আমার কালো মেঘ ছাড়া সেই আকাশ,
                    তুমি আমার তারা ভরা রাত্রী,
                             তুমি আমার ওবুঝ ভালবাসা...


সোমবার, ২৭ আগস্ট, ২০১২

স্পর্শ

 

স্পর্শ


রক্তনদী ছলকে উঠে স্পর্শে তোমার
একটু হেলে একটু দোলে শরীর আমার।
স্পর্শতো নয় বৃষ্টি ঝরে গরম দিনে
খরায় পোড়ে শরীর আমার তুমি বিনে!
গরম শরীর শরম ভেঙ্গে স্পর্শ চায়
রক্তনদী উল্টো স্রোতে উজান যায়
স্পর্শে তোমার আমায় তুমি বরফ বানাও
উজান গাঙ্গের স্রোতটা আমার এখন থামাও!

অনান্দনিক জীবন বসবাস

 

অনান্দনিক জীবন বসবাস


তোমাকে দেখিনা কতোদিন ...
আজ আর লিখিনা কোথাও!
তুমি কেমন আছো ...
আজ আর জানতে চাইনা করো কাছে!
তুমি কি এখনও আমাকে ভালোবাসো ...
এ’কথা বলবে কে আমাকে আর!

জীবনটা বোধ করি এমনই ...!
বদলে যায়, বদলে যাবে; বদলে যেতে হয়, হচ্ছে, হবেই...!
বেঁচে থাকে শুধু নিঃশ্বাস, স্বপ্ন আর স্মৃতিদের দল।
আমরা ভালোবাসি আমাদেরই বেশি প্রায়,
আমরা গল্প লিখি আমাদেরই অসমাপ্ততার।
কোথা থেকে কে যেন দড়ি ধরে টানাটানি করে সর্বক্ষণ!
এই টান কখনও তোমার, কখনও আমার...।

এবং টানাটানির শেষ টানে আসে মৃত্যু,
এ সত্যও তোমার, আমার; সবার। নিরন্তন, চিরন্তন ...!
এইসব কবিতায় নান্দনিকতা তাই কম,
কী ক’রে করবো ব’লো নন্দনচর্চা...
যখন অনান্দনিক জীবনের মধ্যেই করি বসবাস...!
-----------------------------------------------------

কিস মি ম্যাম (১)

 

কিস মি ম্যাম (১)


এই শহরে কুনো এক প্রহরে
জমেছিল মেঘের আসর
এসো এসো ফাগুনে ফাগুনে

গাঁয়ের কিশোরী ভাঙা ভাঙা
গলায় কুনো এক বিকেলে
ভিড়েছিল ব্রাহ্মণ পাড়ায়

সান্ধ্য আলোও বুঝি
এই গলিতে বড় বেশি বেমানান
কুকুরের ডাকের সাথে
কি যেনও এক মিতালি

এই গলির মেয়েদের রঙে
ভিন গাঁয়ের তুলোতুলো মেঘ

হাসছে কিবা গাইছে
রবিন্দ্র সঙ্গিত

আমরা যারা মিছিলে যেতাম
মানব কিংবা মানবির দুঃখ প্রেমে
কাঁটা কাঁটা চুরির টানে

আধো আলোয় কি যেনও ফিস ফিস
এ মেয়ে কি হবে
আমাদের

এ মেয়ে গলায় পড়বে কি
মাতাল সমগিত

মিছিলে ছিল বুঝি
শেফালি, কামিনি, রহিমা
কিংবা মরিয়ম, আলভী

আছে পাঁচ নামি প্রসাধনি
আর তাদের নামি নামি
রঙ শিল্পী
কালো কে আলো
আলোকে কালো

করে দিবে একদিন

লজ্জাবতী লাজুক গলে
কিংবা ঢলে যায়
এই পাড়ায়
তার পরের পরের গলি

আয়নায় মুখোশ

 

আয়নায় মুখোশ

আয়নায় মুখোশ
.....................

দেয়ালে টাঙ্গানো মুখোশ
আয়নায় জমে থাকা ধুলো

সবাই যদি ফিরেই আসবে
বন থেকে হরিণ শিকারের গল্প নিয়ে
আমরা কেনইবা ছিপ ফেলে
গল্প করেছি রুই কিংবা কাতলের

আমরা যারা জাল ফেলে
করসরত করে
হাডু ডু ডু খেলেছি
মাটিভাঙা মাঠে
বাঁদর কিংবা হরিদাসের সাইকেলের
টিং টিং বেলে

বিকেলে নীল আকাশে
কুনো এক দালান পরীর
ছায়া নিয়ে

সন্ধ্যায় বুঝি ঘুমিয়ে গেছে
গাঁয়ের কিশোরেরা আগামি
দিনের মিছিলে

কাঁঠাল পাতায় উড়ো টাকায়
বাড়িতে বাড়িতে
হাঁড়ির টুং টাং বৈরাতী
চলে নৃত্য মন ভূমে

একদিন সবাই খবর শুনে

আয়নায় জমে থাকা ধুলো
আরও বেশি প্রকট হয়

দেয়ালে টাঙ্গানো মুখোশ
ফিরে ফিরে আসে

সোনালি আঁশের সবুজ গন্ধে
এই বাঙলায়

পাঁচ মউসুম পর পর
কাঁঠাল পাতা জড়ো হয়

কাঁঠাল ভেঙে হুইসেল নিয়ে
প্রতীক্ষায় থাকা কিশোর যুবক
বুড়ো হয়

মুখোশ পড়ে থাকে আয়নায়

সুন্দর পাত্রী আমি বরযাত্রী

 

সুন্দর পাত্রী আমি বরযাত্রী



আজ গিয়েছিলাম বরযাত্রী,
ফিরতে হয়ে গেল রাত্রী।
অপরুপ সুন্দরী দেখতে পাত্রী,
বর্তমানে সে কলেজের নেত্রী।

এখন মনিটরের সামনে বসে,
ভাবছি কি লিখবো অংক কষে।
কোনটা লিখবো আগের অংশে,
কোনটা লিখবো সবার শেষে।

তাহলে শুরু করি এভাবে,
যাত্রা শুরু করলাম কি ভাবে।
অনেক বরযাত্রী গাড়ির অভাবে,
কষ্ট করে পৌঁছালো কোনভাবে!

শুরু হলো আপ্যায়নের পর্ব,
বরযাত্রী হিসেবে করছি গর্ব।
কোনটা খাবো কি করবো,
সব গুলো এক সঙ্গে ধরবো?

বিয়ে পড়াতে আসলো কাজী,
কনে হলো সহজেই রাজি।
উকিল হলো রহিম বাবাজি,
সংসার শুরু হলো আজি।

বাড়িতে ফিরে আসলো বর,
ফুলে সাজানো বাসর ঘর।
আপন হয়েও এখন পর,
সুখে থাকো জীবনভর।

আমি স্বপ্ন বিলাসী

 

আমি স্বপ্ন বিলাসী


 
আমি স্বপ্ন বিলাসী,
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি।
স্বর্গ থেকে ঘুরে আসি,
বিহঙ্গের মত আকাশে ভাসি।

এসো স্বপ্ন দেখার দলে,
পরির মত ডানা মেলে।
আকাশে বেড়াবো খেলে,
মৎস কন্যার মত ভাসবো জলে।

স্বপ্ন দেখি কখনো রাজা,
প্রনাম করছে সকল প্রজা।
স্বপ্ন দেখার আলাদা মজা,
স্বপ্ন ভাঙ্গার কঠিন সাজা!

মানছে কথা দানব দত্য,
স্বপ্ন এখন সবই সত্য।
মনের ভিতর রঙ্গিন চিত্ত,
ইচ্ছে মত খাচ্ছি নিত্য।

স্বপ্ন যেন না যায় ভেগে,
ঘুম থেকে না উঠি জেগে।
ঘুমের বড়ি খাই আগে,
স্বপ্নই আমার সবার আগে।

ভেঙ্গে কোমল নিরবতা,
চাইনা কঠিন বাস্তবতা।
কোথায় মানুষের মানবতা?
ঘুমিয়ে থাকায় স্বাধীনতা।

স্বপ্ন বিলাসী হতে হলে,
চলুন ঘুমিয়ে পড়ি তাহলে।
দুনিয়ার সব ঝামেলা ফেলে,
কেহ কিন্তু জাগবেন না ভুলে!

তিক্ত আলো


 

তিক্ত আলো...


চার দেয়ালের দিনটা আমার আধো আলো আধো ছায়া
ঠেকে গেছে দিনের আলো বন্দি যেন এক বেহায়া।
তফাৎ বুঝার তড়িৎ গতি ততক্ষনে বিনাশ হল
আমার আমি আমার মতই হাতরিয়ে যাই দিনের আলো।

মাথার উপর তারার মেলা জোনাক জুড়ে শুধুই বাযে
কি এমন এক অচিন আশায় কাটাচ্ছি দিন দেয়াল মাঝে।
হা-এর পরে হুতাশ আমায় হতাশ করে দিন অবধি
মুক্ত হবার ইচ্ছা আমার মুক্তি দিবে কোন দরদি।

কালের ঘাটে অকাল বাধা সু-কাল আমার অনেক দুরে
আমিও তাই অবলীলায় দ্বন্দ্বে বিভোর চতুর ধাবে।
এই রোযাতে যদি আমায় মুক্ত করে প্রাণ বিধাতা
আমি তারে করবো খুশি যদিও চায় আমার মাথা।

অতৃপ্ত শরীর

 

অতৃপ্ত শরীর


যত চাও নিয়ে যাও দিয়ে যাও ভরা প্রান
কোলাহলে অনায়াসে ফিরে এসো অবিরাম্।

ছায়া পথে মায়া করে হায়াটাকে মারে ঢুঁ
টুপটাপ ঝরা জলে মিশে আছে কি মধু?
ফিরে ফিরে আসে তরী নড়ে চড়ে ডান বাম
তবু তরী ছাড়ে নাকো মায়া মাখা ধরাধাম।
উবু হয়ে মনে মনে তৃষা খুঁজে যে আদম
সে কি আজ ফিরে যাবে খালি হাতে নরাধম।
যে দেহের ঝলকানি উঁচু নিচু বন্ধুর
সে কি করে সমতায় পাবে তৃষা সুমধুর।
আধারী বা আলো মাঝে যে নারীর দেহ ভাজে
অবিচল খেলা চলে অনুরাগ, অনুভবে
তবু যারে ছুঁয়ে যায় না পাওয়ার বেদনা
সে আমার দুখী বোন লালায়িত ললনা।
 

My LiTtEl PaPa....অর্পা ও অরন্য


অর্পা ও অরন্য










ফুলের কথন

ফুলের কথন


ফুল বলে- প্রিয়া, তুমি এসো প্রজাপতির
ডানা মেলে, আমার কাঁধে এই খানে
বসো; তোমায় আপ্যায়ন করবো সুমিষ্ট
সৌরভে, তোমার পাখার রূপালী রঙ্গে
রাঙ্গাবো আমার পাপড়ির কপোল।

হাওয়ায় মিশে তোমায় আমি নিয়ে যাবো
ঐ দিগন্তে; তুমি আর আমি উড়ে উড়ে
আকাশের নীলে ভালোবাসার রঙ ছড়াবো।

বিষন্ন নীলের মৌনতার গলায় কথার
মালা পড়াবো। বলবো, আর মন খারাপ
নয়, এই দেখ! আমি আছি না তোমার
পাশে! তোমার নীল শাড়ীতে জ্যোস্নার
রূপালী জরি দিয়ে সাজাবো। তোমায়
আমি গোধূলির সোনালী আভায় স্নান
করাবো, রাতের আকশের তারকা খচিত
উত্তরীয়ে ঘোমটা পড়াবো।

রবিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১২

মরুর বুকে সবুজ অরণ্য


মরুর বুকে সবুজ অরণ্য
desert garden.1

কালো দু’টি চোখে সাগরের গভীরতা,
এক রাশ বিষন্ন কালো মেঘ উড়ছে তাতে;
দুখের মেঘেরা বারবার হানা দেয় মানস
আঙ্গিনায়। বুকের ক্ষতে দুখের এক নদী
বয়ে দিতে চায়; যার স্রোত মনের দু’কূল
ভেঙ্গে তলিয়ে দিয়ে যায়; কষ্টগুলো জলের
সাথে মিশিয়ে নিয়ে যেতে চায় মহাসমুদ্রে।

সে চোখ দু’টো কারও করুনা পেতে চায় না;
কখনও দ্রোহের অনলে সূর্যের খরতাপকেও
জ্ব্বালিয়ে দিতে চায়।
চৈত্রের ঝরা পাতার মতো একেকটা স্বপ্ন
দুঃস্বপ্নের হাত ধরে ঝড়ে যেতে চায়।


সেদিন যখন তুষার শুভ্র সাদা মেঘ হয়ে
নূপুরের ঝংকার বাজিয়ে আমার আঙ্গিনায়
এসে জড়ো হতে লাগলে, আর মনের গভীরে
আরবীয় অশ্ব চালিয়ে আমায় খুঁজে নিতে
ছুটলে, আমি নিজেকে আবিষ্কার করলাম,

আজ আর নিঃসঙ্গ নই। তুমি আমার হাত
ধরে আলো ঝলমলে একরাশ ভালোবাসার
মঞ্ছে নিয়ে আসলে। বুকের মরুতে এক রাশ
ভালোবাসার সবুজ অরণ্যে আমি হারিয়ে
যেতে থাকলাম। নিয়ে গেলে আমায় মধুময়
এক মহাসমুদ্রে; সুখের অবগাহনে আপ্লুত
করলে; সেই থেকে তোমার হাত ধরে অনন্ত
এক অমিয় সুখের স্রোতে ভাসতে থাকলাম।

– — –
অগাস্ট-২৪,২০১২

ছন্দে খেলা...



বুঝিনি এত টুকু তোমাকে
 হারিয়ে ছিলাম স্বপ্নের ঘোরে...
 কতটা পথ ঘুরে এসেছি
 তুমি বন্ধু আমার ছিলে পাশে...

 মেঘের পরে... আলোর ভীড়ে
 তুমিই প্রথম চেয়েছিলে
 বুঝিনি আমি তোমাকে দেখে
 রেখেছ যে কত মায়া তে.......

 বুঝতে দেও নি কেন আমাকে
 সাজিয়েছ যা হৃদয়ে...
 ছায়া হয়েছিলে পাশে
 বল কি করে যাব তোমায় রেখে...

 মেঘের পরে... আলোর ভীড়ে
 তুমিই প্রথম চেয়েছিলে
 বুঝিনি আমি তোমাকে দেখে
 রেখেছ যে কত মায়া তে! .......

জাত



(পুরনো লেখা )
 জাত

সাহেব ,কতোটা চকচকে জুতো চাই তোমার
 একদম নতুন করে দিতে পারি ছেঁড়া জুতো
 সেই ছেলেবেলা থেকে একটা কাজই তো আমার
 বাপ দাদা করেছেন ,টেনে নিচ্ছি আমিও
 তবে সাহেব ,ছেলেটাকে মুচি বানাবো না
 তোমার মতো সাহেব বানাবো !

 জাঁদরেল জমিদার বাবু'র মতো
 জুতো বাড়িয়ে দাঁড়াবে আমার খোকা
 ওর নতুন জুতো আরও নতুন হবে !
 বউকে সেদিন এ কথা বলতেই
 বউ হেসে খুন !
 আরে বাপ ! এতো হাসির কি হলো !

 তুমিই বলো সাহেব ,
 লেখাপড়া শিখলে কি ওর জুতো পালিশ হবে না
 টাকা দিয়ে মুছে ফেলা যাবে না 'জাত' নামের হিংস্র শব্দটা ?
 খুব ভয় আমার ওকে !

 সাহেব , আমি কিন্তু জুতোয় নিজের চেহারা দেখি ,
 ভাগ্যও দেখার চেষ্টা করি মাঝে মাঝে
 সাহেব , কতোটা চকচকে দেখা গেলে সাহেব হওয়া যায় ?
 জুতোয় নিজের চেহারা দেখি আর ভাবি
 আমার খোকা একদিন সাহেব হবে !
 ওর জুতো না হয় পালিশ দেবো নিজেই ।
 তবুও খোকা একদিন ঠিক তোমাদের মতো সাহেব হবে !

একা একা বিষন্ন


যখন নিজেকে খুব একা লাগবে ,
সন্ধার বাতাসে নিজেকে খুব হতাশ লাগবে ,
দুঃসহ সৃতিগুলো কষ্ট দিবে ,
একা একা বিষন্ন
মনের বেলকোনিতে বসে থাকবে ,
যখন কিছুই ভাল লাগবেনা
তখন আমায় ডেকো একটি বার ।
আমি সব কিছু ফেলে চলে আসবো
তোমার কাছে .....
তবে চিন্তা কোরোনা কোন কিছু চাইবোনা তোমার কাছে ।
শুধু নিস্বার্থ ভাবে ভালবেসে যাবো । ♥♥♥


বুধবার, ২২ আগস্ট, ২০১২

বধু



বধু

আকাশের বুকে মেঘের ভেলা
শ্রাবণের বুক বিষাদে ভার;
পৃথিবীর বুকে অশ্রু ফেলে
শ্রাবণ বানিয়ে দিলো জলাধার।

সকাল সন্ধ্যা কাঁদছে বধু
নৌকায় যাবে বাপের বাড়ি;
আড়িয়াল বিলে হাসছে শাপলা
কাটে না দিন আর মা’কে ছাড়ি।

শালুক তুলিতে জলকেলিতে
কত না মধুর ফেলে আসা দিনগুলো;
বকুনি সহেছি মা’র কত না নীরবে
মজিতাম খেলায় উড়িয়ে মাঠের ধুলো।

খুনসুটিতে ছোট ভাইকে কাঁদালে
মা এসে দিতো জোরে কান মলা;
নীরবে গিয়ে ভোরে বকুল তলায়
কুড়িয়ে বকুল গাঁথা হয় না মালা।

বই-খাতা নিয়ে সাঁঝের বেলা
টেবিলে বসা ছিল কতো না তিক্ত;
সেই সব মধুর হারানো দিনের ব্যথায়
হয়ে গেছি আজ কত না রিক্ত!

লাল শাড়িতে দূর ঐ অচেনা গাঁয়ে
কাটছে না দিন আর শ্বশুর বাড়ি;
চোখ-কোনে মা’য়ের চিকচিক করা শিশির
থাকতে দেয় না যে আর বাঁধন ছিঁড়ি।