শাকিরাও কারও কারও মন খারাপ করে দেয়
বুঝলেন ভাইজান এই হইলো আমাগো ট্রেন চলে আবার চলে বইলাও মনে হয় না, এই ট্রেনের সাথে আপনি আমাগো পরাণতলা গ্রামের হুরমুজ আলীর বউয়ের সাথে তুলনা করবার পারেন। হুরমুজ আলীর বউয়ের বয়েস মনে করেন এহন চল্লিশ ছাড়াইয়া গেছে। ওই বউটা মাইয়া মানুষ আবার মাইয়া মানুষও না। হুরমুজ আলী যে কেমনে ওই বউ নিয়া আছে বুঝি না। কেমনে আমরা এই ট্রেন নিয়া চলি সেইটাও বুঝি না।
লোকটা আরও কিছু বলতে চাচ্ছিল। আমি তার দিকে তাকাই প্রায় কাতর চোখে। লোকটা হয়তো বুঝতে পারে যে, তার কথা আমার আর ভালো লাগতেছে না। ভালো লাগার কথাও না। আমি সেই সকালে না খেয়ে ট্রেনে উঠছি। এখন দুপুর গড়ায়া যাইতাছে অথচ গন্তব্যে মানে সিলেট স্টেশনে কখন পৌঁছাইবো তার ঠিক ঠিকানা নেই। আমি সিলেট যাইতেছি অফিসের কাজে। অফিসের কাজ বলতে, আমার বসের মামাতো বোনের বিয়ের কিছু দাওয়াতপত্র পৌঁছাইয়া দিতে। কথা ছিলো দুপুরের মধ্যে সিলেট পৌঁছাইয়ে তিন চারটা ঠিকানায় দাওয়াতপত্র দিয়ে আবার ফিরতি ট্রেন ধরবো। কিন্তু ট্রেনের অবস্থা যে হুরমুজ আলীর বউয়ের মতো তা তো আর আমার অফিসের বস জানেন না। জানবেনই বা কীভাবে, তিনি তো আর ট্রেনে চলেন না, আসমানে পাখা মেলে তিনি ফুড়ুৎ ফুড়ুৎ ঢাকা-সিলেট ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াত করেন। আমার কপাল খারাপ, আমি বস হইনি। যা হয়েছি তাতে আর ফুড়ুৎ হওয়া হবে না কোনোদিন।
লোকটা আবার মুখ খোলেন- ভাইজান আমার কথায় বিরক্ত হইবেন না। আমি আছি বইলাই কিন্তু আপনে দুইচাইরখান কথা শুনতাছেন, নইলে বজ্রপাতে মরা মাইনষের মতো বইসা থাকতেন। শুনেন আমি সিলেটে যাই বচ্ছরে দুইবার। দুই ঈদে। কিন্তু এইবার আর তা পারলাম না। আমার শ্যালকের স্ত্রীর বাচ্চা হইছে তাকে রক্ত দিতে হইবো। আরে আমি ছাড়া কি আর সিলেটের কারও এই রক্ত নাই নাকি। নাকি ওই ছেমরির আমার রক্তই লাগবো, তাইলে আগে কইতো অন্য কিছুও দিতাম। রক্ত দেওয়ার কথা চিন্তা কইরাই আমার মেজাজ খারাপ হইতাছে।
আমি আবারও লোকটার দিকে তাকিয়ে আমার করুণ অবস্থা প্রকাশ করি। তাতে কাজ হয় না। তিনি আবার শুরু করেন। আমি আর মুখ না খুলে পারি না- ব্রাদার আপনি কথা বলে খুব মজা পান, আমারও শুনতে কোন কালেও আপত্তি ছিলো না। কিন্তু আমি খুব টেনশনে আছি। আমার মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে তিনি টেনশন নিয়ে তার বয়ান শুরু করেন। ভাইজান, টেনশন কিন্তু খুব খারাপ, খুব বেশি সময় ধইরা টেনশন করবেন না। এই ধরেন আমি যখন বিয়া করি তখন খুব টেনশনে ছিলাম, কারণ ওইটাই ছিলো আমার প্রথম বিয়া। বাসরঘরে গিয়ে তো আমার চোখে আন্ধার দেখার অবস্থা। বউ তো চোখ পাকাইয়া আমার দিকে তাকাইয়া আছে। আমি ভয়ে ভয়ে বিছানায় গিয়ে বসলাম।
এরপর কিছু অশ্রাব্য বিষয় শ্রবণ করার আশঙ্কায় আমার কান গরম হয়ে উঠল। আর তাই আর চোখের ভাষা দিয়ে নয়, তাকে আমি নিবৃত্ত করার উদ্যোগ নিলাম মুখের ভাষায়। ভাইজান আপনার বাসররাতের বিবরণ আমার এই মূহূর্তে শুনতে ইচ্ছে করছে না।
কী বলছেন আপনি- বলেই আবার শুরু করলো লোকটা। আর আমার ভাবতে হলো লোকটা কি মানুষ না খাটাশ। জোর করেই গল্প শোনাতে চায়, তাও আবার বাসর রাতের ঘটনা। তিনি শুরু করলে আমি মুখ ঘুরিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকি। তবু কানে বাজতে থাকে- বউতো মনে করেন খাটের মধ্যিখানে বইসা আছে, আমি কী করবো বুঝতে পারতেছি না। এই সময় আমার নতুন বউ করলো কী জানেন, খাট থিকা নাইমা আসলো। ভাবলাম আমারে সালাম করবো। কিন্তু শালি করলো কী জানেন, এক ঝটকায় আমারে জড়াইয়া ধইরা সে কি কারবার, টান দিয়া বিছানায় ফালাইয়া দিলো। আমি তো তলে পইড়া কাহিল, পরে অবশ্য উপরে উঠছিলাম। বুঝলেন ভাই, টেনশন করবেন না।
জানালা থেকে চোখ ফিরিয়ে তার দিকে তাক করে ভাবলাম, যাক অল্পে বাঁচা গেল।
এই সময় আসলো এক ম্যাগাজিন বিক্রেতা। ম্যাগাজিন বলতে আমাদের দেশের কিছু নাই, সবই ভারতের আর আমেরিকার। যে দেশের হোক আমার আগ্রহ নাই। দেখা গেলো গল্পের ভাণ্ডার লোকটা ঠিকই শাকিরার ছবিওয়ালা একটা ম্যাগাজিন হাতে নিয়া পাতা উল্টাইতে শুরু করলো। এবার আমি যেন হাফ ছেড়ে বাঁচি। কারণ পাঠে মন দিলে লোকটার গল্প থামতে পারে।
কিন্তু আমার সেই আশায় গুঁড়ে বালি। তিনি আমাকে ওই ম্যাগাজিনের কিছু চুম্বক অংশ পড়ে শোনাতে উদ্যোগী হলেন। তার আগে দিলেন ছোটোখাটো ভূমিকা- এই যে শাকিরা, এইটা কিন্তু একটা মাল। শালি যেমন নাচে তেমনি নাচায়। আমার ওর গান দেখতে বসলে লুঙ্গি উঁচা হয়া যায়। আর আপনার ভাবি শুরু করে গালি। ওই যে কি একটা গান আছে ওর যেইটার মইধ্যে ট্রেন লাইন ধইরা নাচে আবার সাগরে নামে জামা কাপড় খুইলা। আপনি মনে হয় দেখেন নাই। ওয়াকা ওয়াকা নিশ্চয় দেখছেন। ওই গানটা শালীন, তয় পাছাটা কিন্তু ও নাচায় ভালো। আর ওর আছেই পাছা, যা না নাচাইলে ওর গান কেউ শুনব বইলা মনে হয় না।
আমি দেখলাম, লোকটা কথাগুলো বলতে বলতেই ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে বিশেষ ভঙ্গীতে দাঁড়ানো শাকিরার শরীরের বিশেষ কিছু অংশে হাত বুলাচ্ছে লোকটা। সেই সাথে লোকটা জিহ্বা দিয়ে ঠোঁটও চাটছে। একটা মানুষ যে চলতি পথেও একা একাই উত্তেজিত হতে পারে এমনটা আগে আমার দেখা ছিলো না। এবার আমার চোখও শাকিরার শরীরে ঘুরতে থাকে। আমিও যেন কেমন কেমন করতে থাকি। ছোটবেলায় আমার এক দাদা আমাকে প্রায়ই বলতেন, মানুষের বদঅভ্যাস বাতাসে ভেসে ভেসেই অন্যের মধ্যে প্রবেশ করে। এইবার তাইলে কাম সারছে। আমিও কি তাইলে ওই লোকটার মতো উত্তেজিত হতে চললাম নাকি।
ট্রেনে দীর্ঘপথ ভ্রমণের নাকি মজা আছে। আজ ট্রেনে ওঠার আগে একবার ভেবেছিলাম, ওই মজাটা উপভোগ করার চেষ্টা করবো। কিন্তু আমার ওই মজা বুঝি এই লোকটা লুটে নিয়েছে আর তার ভাগ কিছুটা হলেও আমাকে দিয়েছে। আগেই বলেছি, আমি যাচ্ছি সিলেটে আমার বসের মামাতো বোনের বিয়ের দাওয়াতপত্র নিয়ে। শাকিরার ওই ছবি দেখার পর থেকে মনে হচ্ছে, আমি নিজেই বাসর রাতের মতো বউয়ের অপেক্ষায় আছি, এখনই কেউ একজন আমাকে জাপটে ধরে ওলট-পালট করে আমাকে ঠেলে ওপরে তুলে দেবে।
আমি বসের অনুমতি নিয়েই ট্রেনের বিশেষ শ্রেণীর কামড়ার একটা টিকেট করেছি। ট্রেন ছাড়ার আধাঘণ্টা আগে কামরায় উঠে আমি পছন্দের সিট নিয়ে বসেছি। যাতে বাইরের দুনিয়া দেখা যায়। ঢাকা শহরের ইট-সিমেন্ট দেখতে দেখতে তো চোখের টেইশ মারা সারা। তাই চাইছিলাম, প্রকৃতি দেখে একটু চোখ জুড়াইতে। কিন্তু ওই লোকটার পাল্লায় পড়ে তো কিছু জুড়াতে পারলাম আরও আগুন লাগালাম। ওই লোকটাকে আমি অবশ্য তেমন দোষ দেই না। কারণ আমার ওই আগুন জ্বলতেই থাকে সব সময়। বিয়ে একটা করছি বছরখানেক আগে। কিন্তু বউ যে কী মজার জিনিস তা খুব ভালভাবে চাইখা দেখার সুযোগ পাই নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাট চুকিয়ে সবাই চাকরি খোঁজে আর আমি খুঁজলাম বউ। আমি ঠিক না, আমার পরিবার বউ খুঁজে আমার ঘাড়ে তুইলা দিছে। বউ নাম মাত্রই। কাজে-কামে তেমন কিছু না।
আমার মায়ের দুঃসম্পর্কের খালাত বোনের মেয়ে সাবিহা, সে এখন আমার বউ। সেই মেয়ে ঢাকায় এসে আমার সঙ্গে থাকতে পারবে না। কারণ এতে তার পড়ালেখার ব্যাঘাত ঘটবো, আর আমিও তার কাছে গিয়া থাকতে পারবো না, আমার চাকরি আছে। আমাদের দু'জনের বয়সের ব্যবধানও খুব বেশি। বালিকা এইবার দশম শ্রেণীর ছাত্রী। বুঝতেই পারছেন বউ চেখে দেখার বাধাটা আসলে কোথায়। বিয়ের কথা-বার্তা হবার পর আমি তা ঠেকাতে বাবা মাকে বললাম, ওই মেয়েকে বিয়ে করলে আমার এবং আপনাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হতে পারে। কে কার মামলার হুমকিতে ভয় পায়। আমার মায়ের কথা হলো, এখন বিয়ে হলেও বউতো ঘরে তুলবো না, তাইলে আর ভয় কী।
আমি আসলে চাচ্ছিলাম বিয়ে যদি করতেই হয় তাহলে উপযুক্ত কাউকেই করবো, যাতে বিয়ের রাতেই সকল প্রতীক্ষার অবসান ঘটাতে পারি। কিন্তু না, তা আর হইলো কই। কবে বউ ঘরে তুলবো তার ঠিক নাই, কারণ এখনও তার মেয়েলী লক্ষণই প্রকাশ পায়নি। মাসের পর মাস চলে যাচ্ছে। ওইটুকু বউয়ের কাছে আমিই বা যাই কোন আক্কেলে। কিন্তু এইক্ষণে শাকিরাকে দেখে আমার যে অবস্থা তাতে আর বোধ হয় খুব বেশি অপেক্ষা করা যাবে না। সাবিহা মেয়ে হিসেবে ভাল। কেমন ভালো তার একটা নমুনা বলি। সাবিহার সাখে মাঝে মাঝে ফোনে কথা হয়। আমাদের মেসে রাত নামে সন্ধ্যার পরই। তাই বউয়ের সাথে ফোনে লম্বা কথা বলায় অসুবিধা। আমার আবার গলা নিচু করে কথা বলার অভ্যাস নাই। তারপরও শেষ রাইতে যখন সবার ঘুম গভীর আলকাতরা তখন আকারে ইঙ্গিতে সাবিহাকে কাছে পাবার আকুতি বোঝানের চেষ্টা করছি। সাবিহা বলছে, আপনে খারাপ কথা বললে আম্মারে বইলা দিবো। আমি বলছি, ঠিক আছে আম্মারে বইলো যে আমি তোমারে নিয়ে শুইতে চাইছি। ওমা মেয়ে করছে কি আমার মাকে সত্যি বইলা দিছে। আর মা আমারে ফোন কইরা বলছে, শিহাব এইটা কিন্তু ঠিক না, তুমি সাবিহাকে ডিস্টার্ব করতে পারো না। ওর পরীক্ষাটা শেষ হোক, তারপর অনুষ্ঠান করে ওকে ঘরে তুলবো।
ভাইজান ও ভাইজান ঘুমাইছেন না কি। আবার ওই লোকটার কথা আমাকে সাবিহার চিন্তা থেকে ফারাক করে দেয়। আমি ভাবলাম তাকে আর খারাপ ভেবে লাভ কী। তার চে যতক্ষণ এক সাথে আছি আলাপ-সালাপে সময় কাটাইলেই ভাল। কিন্তু আলাপ-সালাপের নাম নাম যদি খালি শোনা হয়, তাইলে এইখানে আমি ফার্স্টক্লাস শ্রোতা।
তিনি আবার শুরু করলেন সেই শাকিরা উপাখ্যান। বুঝলেন, শাকিরা হইল এমন একটা জিনিস যা পুরা দুনিয়ারে পাছা দিয়া ঝাঁকাইয়া উথাল-পাথাল কইরা রাখছে। ইস ওরে যদি পাইতাম তাইলে বউরে কইতাম শাকিরার পা টিপ্পা দেও, সুয়াব হইবো।
আমি তাকে প্রশ্ন করে উস্কে দিতে চেষ্টা করি। ভাইজান ভাবি কি হুরমুজের বউয়ের মতো হইয়া গেছে না কি। কিন্তু আমার এই প্রশ্ন তাকে উস্কে তো দেয়ই না উল্টো খেপিয়ে তোলে। তিনি বলেন, তামশা করবেন না। যার তার বউ নিয়া তামশা করা ঠিক না। আমার বউ কি হুরমুজের বউ হইল। ছি আপনেরে ভদ্রলোক ভাবছিলাম। লোকটার হঠাৎ এই রুদ্রমূর্তি দেখতে হবে বুঝিনি। তাই স্যরি বলার ভঙ্গি করে তাকাইলাম। লোকটার দেখি দৃষ্টি বোঝার জ্ঞান আছে। আমাকে মাফ করে দিয়ে বলতে শুরু করলেন, শুনেন আমার বউ হইল বাংলার ঐশ্বরিয়া। বুঝছেন। আমার থিকা ১৩বছরের ছোট। এহনও আণ্ডাবাচ্চার মা হয় নাই। বউটারে আমি খুব ভালবাসি, হ্যায়ও বাসেটাসে মনে হয়।
তাইলে তারে দিয়া শাকিরার পা টিপাইবেন বললেন, বুঝলাম না বিষয়টা।
লোকটার উত্তর- কিন্তু শাকিরা হইল শাকিরা। শাকিরার জায়গায় শাকিরা আর বউয়ের জায়গায় বউ। শাকিরা হইল মাল, আর বউ তো বউই। বলতে বলতে লোকটাকে চোখ মুছতে দেখলাম। কারণও তিনি ব্যাখ্যা করা শুরু করলেন। বউটারে নিয়া আমার সুখের কোন সীমা পরিসীমা ছিলো না। কিন্তু মাইয়াটা হঠাৎ কইরা অসুস্থ হইয়া পড়ছে। যার জন্য সবাই বিয়া করে আমি ওই কাম করতে পারতেছি না কয়েক মাস হইলো। ডাক্তার দেখাইছি, ভাল হইব বইলা মনে হয় না। সারাজীবন আমার এই শাকিরারে দেইখা কাটাইতে হয় কী না কে জানে।
লোকটাকে কথা শুনে যতটা খারাপ মনে হয়েছিলো আসলে ততো খারাপ নয়। লোকটার মন খুব নরম। এখন শাকিরার শরীর দিয়ে প্রচ্ছদ করা ম্যাগাজিনে মুখ ঢেকে কাঁদছে। এই সময় ম্যাগাজিন বিক্রেতা আসে টাকা নিতে। আমিই দাম পরিশোধ করি। ট্রেন শহরের মধ্যে প্রবেশ করেছে অনেকক্ষণ আগে টের পাইনি। আর একটু পরেই নামতে হবে। লোকটার কান্না থামিয়ে দিয়ে বলি, ভাইজান মন খারাপ কইরা আর কী করবেন। লোকটা আমার দিকে তাকিয়ে বলল, কই ম্যাগাজিনের দাম নিতে আইছিলো নি। এমনে ব্যবসা করলে তো ধরা খাইবো। আমি বললাম, শাকিরার ছবিওয়ালা ম্যাগাজিনটা আপনারে আমি গিফট করলাম। ততক্ষণে ট্রেন প্ল্যাটফরমে দাঁড়িয়েছে। লোকটা নামার আগে ম্যাগাজিনটা আমার হাতে গুঁজে দিয়ে বললো, আপনার বউ দূরে থাকে আর কবে কাছে পাইবেন ঠিক নাই, তাই ম্যাগাজিনটা আপনারই দরকার। আর আমার বউ এই ন্যাংটা মাইয়ার ছবি দেখলে মন খারাপ করতে পারে। কিন্তু আমি বুঝে উঠতে পারলাম না আমার বউ যে আমার কাছে থাকে না, তা এই লোক জানল কীভাবে। তাইলে কি আমার চেহারায় সব সময় বউ হারা বউ হারা ভাব লেগে থাকে।
ট্রেন থেকে নামার আগে লোকটার বুকে বুক মিলিয়ে নিলাম। আর মনে মনে বললাম; লোকটা বুঝি সব কষ্ট ভুলতেই বেশি কথা বলে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন